Image description
 

দুই কন্ট্র্যাক্টরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা। এমন অভিযোগ- পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা- আইএসআই'র বিরুদ্ধে। দাবি- নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত দু'জনকে আটক করেছে দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা- এন.আই.এ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি)। 

১৩ হাজারেরও বেশি জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি আই.এন.এস কদম। বর্তমানে এটি দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে এটি। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আই.এন.এস কদমকে। রয়েছে সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান। 

তবে চতুর্দিক দিয়ে আটকানো এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান, এমন অভিযোগ দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) এর বিরুদ্ধে। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি ওই নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই বেসামরিক কন্ট্রাক্টরকে হানি ট্র‍্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ওই দুই কন্ট্রাক্টরের। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক ও টেলিগ্রামে ভিন্ন নামে তাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন ওই নারী। 

 

বলা হচ্ছে ওই দুই কন্ট্রাক্টরের মাধ্যমে আই.এন.এস কদমের খুবই সংরক্ষিত অবস্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিংয়ের ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ওই পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এঙ্গেজ মোডে থাকে এসব তথ্যও রয়েছে আই.এস.আই এর কাছে। 

আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হতো। টানা ৮ মাস টাকা দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গত বছরও বিশাখাপাটনাম নৌঘাঁটিতে ভারতীয় নৌবাহিনীর অফিসারকে হানি ট্র‍্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আই.এস.আই এর বিরুদ্ধে।