Image description
 

লাভার পাশে সেলফি তোলা থেকে শুরু হয়েছে অদ্ভুত সব কাণ্ড—কেউ লাভা পাথরে সসেজ ভাজছেন, কেউবা ইতালিয়ান কফি মেকার দিয়ে বানাচ্ছেন কফি!

 

সিসিলির এটনা আগ্নেয়গিরির লাভা প্রবাহের কাছে অবাধে ঘোরাফেরা ও নিয়ম ভাঙার প্রতিবাদে সতর্কবার্তা জারি করেছে স্থানীয় পুলিশ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউরোপের সর্বাধিক সক্রিয় এই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত চলছে, আর এর মধ্যেই পর্যটকদের বেপরোয়া আচরণ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।

২০ বছরের বেশি সময় ধরে এটনাকে ক্যামেরাবন্দি করছেন ফটোসাংবাদিক জিউসেপ্পি ডিস্টেফানো। তার প্রতিষ্ঠান এটনা ওয়াক এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সরবরাহ করা ছবি ও ভিডিওতে ধরা পড়েছে পর্যটকদের চাঞ্চল্যকর সব কর্মকাণ্ড। ডিস্টেফানোর কথায়, ‘১২ দিনের এই অগ্ন্যুৎপাতে আমরা দেখেছি হিমশীতল বরফে প্লাস্টিকের ব্যাগ পায়ে জড়িয়ে লাভার ধার ঘেঁষতে যাওয়া মানুষ! কেউবা স্কি করতে গিয়ে পড়েছেন বিপদে। নিয়ম অনুযায়ী লাভা প্রবাহ থেকে কমপক্ষে ৫০০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক, কিন্তু তা মানছে না অনেকে।‘

গত কয়েকদিনে কয়েকজন হাঁটু ভেঙে আহত হয়েছেন, কেউবা হাইপোথার্মিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানান তিনি। মূল সমস্যা হলো, অগ্ন্যুৎপাত শুরুর দিকে পিস্তা আল্টোমোন্টানা (এটনার প্রধান ট্র্যাক) প্রবেশপথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় অপ্রস্তুত পর্যটকরা গাইড ছাড়াই এগিয়ে যাচ্ছেন বিপদসীমার ভেতরে। ফলাফল? লাভার পাশে সেলফি তোলা থেকে শুরু হয়েছে অদ্ভুত সব কাণ্ড—কেউ লাভা পাথরে সসেজ ভাজছেন, কেউবা ইতালিয়ান কফি মেকার দিয়ে বানাচ্ছেন কফি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এসব ছবির পরই কঠোর হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এখন গাইড ছাড়া এটনা দেখা নিষিদ্ধ, আর গাইডের ফি ৫০ থেকে ৮৫ ইউরো।

 

পর্বতের পুলিশ বাহিনী আলপাইন রেসকিউ টিমের মার্শাল অ্যাঞ্জেলো প্রিভিটেরার মতে, অনেকে সাধারণ জুতো আর পোশাক নিয়ে আসেন, যেন কাতানিয়া শহরে ঘুরতে এসেছেন! আমরা পরামর্শ দিই শুধুমাত্র প্রশিক্ষিত গাইডের সঙ্গে যেতে, সঙ্গে নিতে হেড টর্চ ও উপযুক্ত জামাকাপড়।

ডিস্টেফানোর কাছে আসে নানা আজব প্রস্তাব— কেউ লাভার সঙ্গে ওয়াইন বোতলের ছবি তুলতে চায়, কেউবা লাভার উপর হাঁটার স্বাদ নিতে চায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার লোভে কেউ কেউ ঘুষও দেয় বেশি দূর যেতে!