Image description

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বেইজিংয়ের উত্থান ঠেকাতে ওই অঞ্চলে নিজেদের ব্যাবসায়িক এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে বেশ সতর্ক ওয়াশিংটন। ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক নীতির ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাণিজ্য যুদ্ধের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তা মোকাবিলা করতেই জাপানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধরে রাখতে চায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

এতে বলা হয়, ক্ষমতায় বসার তিন সপ্তাহের মধ্যেই সব উলট পালট করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ইতিমধ্যেই কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে দুর্বল করতে দেশটির ‘তেল নেটওয়ার্কের’ ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষ শক্তিগুলো যে হুমকির মুখে পড়েছে তা কাটিয়ে উঠতে তারা আরও ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। মূলত এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং ফিলিপাইনসহ দীর্ঘস্থায়ী এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের পথে হাঁটছে ওয়াশিংটন।

তবে সিন্থেটিক ওপিওয়েড নিয়ে চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রাথমিক লড়াই জাপানের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বের একটি পরীক্ষা হতে পারে। কেননা চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে এশিয়াতে যে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে সে বিষয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে থাকবে জাপান। প্রসঙ্গত, এ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশকে বাণিজ্যিক সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।