Image description

গাজা দখল করে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এরপরই বিশ্বনেতাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গাজাকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরাইল। তার ওপর গণহারে মানুষ হত্যা করেছে। এরপরও যারা বেঁচে আছেন, তাদেরকে মিশর, জর্ডান সহ বিভিন্ন দেশে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প।

একটি জনপদকে তাদের নিজেদের অধিকারের পক্ষে লড়াই করার কারণে গণহত্যা চালিয়ে যাওয়ার পর তা দখল করে নেয়ার হুমকিতে স্তম্ভিত বিশ্ববিবেক। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রক্রিয়ায় তার দেশের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

বর্তমানে গাজায়  যে যুদ্ধবিরতি চলছে তার স্থায়ীত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় কিয়ের স্টারমারের কাছে জানতে চাওয়া হয় ট্রাম্পের পরিকল্পনা সম্পর্কে। জবাবে তিনি বলেন, গাজার ধ্বংসস্তূপের ভিতর দিয়ে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি হেঁটে তাদের ঘরে ফিরছেন এই ছবি দেখে তিনি আহত হয়েছেন। হাউস অব কমন্সে স্টারমার বলেন, তাদেরকে অবশ্যই তাদের ঘরে ফিরতে দিতে হবে।

অবশ্যই তাদের বাড়িঘর সব কিছু পুনরায় নির্মাণ করতে দিতে হবে। এসব প্রক্রিয়ায় তাদের সঙ্গে থাকা উচিত আমাদের। দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে যাওয়া উচিত। ওদিকে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রক্রিয়ায় তার দেশের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই ফিলিস্তিনিরা তাদের নিজেদের ভূমি গাজা ও পশ্চিমতীরে সমৃদ্ধির সঙ্গে বসবাস করছেন। ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনের গাজার মানুষদের যেকোনো উপায়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার বিরোধী তারা। ওই ভূখণ্ড তৃতীয় কোনো দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকা উচিত নয়। ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী শান্তির একমাত্র নিশ্চয়তা হলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান।

ক্রেমলিনে রাশিয়ার মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ বলেন, শুধু দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান বাস্তবায়নটই হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যার একমাত্র সমাধান। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনেরদেকে তাদের নিজেদের ভূখণ্ড থেকে সরিয়ে দেয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা আরও শক্ত ভাষায় বলেছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সৃষ্টি না করা পর্যন্ত ইসরাইলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। একইভাবে দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা সমর্থন করেছে চীন ও অস্ট্রেলিয়া। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সমীকরণ থেকে ফিলিস্তিনিদের বাইরে রাখার যেকোনো পরিকল্পনা আরও সহিংসতা, যুদ্ধ বাধাবে।