অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের জন্য ইসরাইলের তিনটি মূল লক্ষ্য ঘোষণা করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং জোর দিয়ে বলেছেন, আমরা এই তিনটি লক্ষ্যই অর্জন করব।
বুধবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি গাজা বন্দি মুক্তি চুক্তি সমর্থন করেন কি না।
জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সকল বন্দিকে মুক্ত করা এবং আমাদের যুদ্ধের সমস্ত লক্ষ্য পূরণ করা সমর্থন করি—যার মধ্যে রয়েছে হামাসের সামরিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং নিশ্চিত করা যে গাজা আর কখনও ইসরাইলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার একটিমাত্র লক্ষ্য নেই, বরং তিনটি লক্ষ্য রয়েছে, এবং আমরা অবশ্যই তা অর্জন করব।’
নেতানিয়াহু বলেন, তিনি ‘সম্মানিত’ বোধ করছেন কারণ তিনি হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রিত প্রথম বিদেশি নেতা। তিনি ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি হোয়াইট হাউসে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় বন্ধু।
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে ইসরাইলের জন্য যে নীতি অনুসরণ করেছিলেন—যেমন ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে আসা, আব্রাহাম চুক্তি বাস্তবায়ন করা এবং মার্কিন দূতাবাসকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা—তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সেখান থেকেই কাজ শুরু করেছেন।’
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, গাজা জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনার নেতৃত্ব বেশ কয়েকজন জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন আগের মার্কিন সরকারের দ্বারা আটকে রাখা গোলাবারুদ মুক্ত করেছে, ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর আরোপিত ‘অন্যায়’ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে এবং ইরানের বিরুদ্ধে পুনরায় ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ শুরু করেছে।"
গাজা খালি করে যুক্তরাষ্ট্রের দখল করার ট্রাম্পের পরিকল্পনা নেতানিয়াহু সমর্থন করে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের পরিকল্পনা করেছেন, যা ‘ইতিহাস বদলে দিতে পারে।’
তিনি বলেন, এটি মনোযোগ দেওয়ার মতো একটি বিষয়, এবং এটি সত্যিই ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে।"
নেতানিয়াহু ট্রাম্পের কৌশলকে ‘বাক্সের বাইরে চিন্তা করার’ একটি দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেন এবং বলেন, ‘তিনি প্রচলিত ধারণাগুলোকে চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখাচ্ছেন।’
শেষে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প ইসরাইলের জন্য সবচেয়ে বড় বন্ধু এবং ইসরায়েলি জনগণ তার প্রতি প্রচণ্ড শ্রদ্ধাশীল।’