পূর্ব নির্ধারিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ডাকা এক জরুরি সিন্ডিকেটে নির্বাচন আটকে দেন বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর পর এ সভা ডাকা হয়।
সভার একটি সূত্র জানায়, সিন্ডিকেট শুরু হওযার শুরুতে অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোশাররফ হোসেন উপাচার্যকে গিয়ে বলে আসেন, ‘আজ কোনও জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না’। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য।
বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
সিন্ডিকেটে নির্বাচন স্থগিত হওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা স্থগিত করেছি। পরবর্তীতে কবে নির্বাচন হবে, সে সিদ্ধান্ত আসেনি।’
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার খবর প্রকাশ হলে শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ শুরু করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তারা আজই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ইন্তেকাল করায় জকসু নির্বাচনের এ সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকাল ৯টায় এ নির্বাচন শুরুর কথা ছিল।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। সিন্ডিকেট সভা শেষে মঙ্গলবার সকালে তিনি বলেন, ‘শোকাবহ এই সময়ে আমরা নির্বাচনের উৎসব চাই না। এ জন্য জকসু ও হল সংসদ নির্বাচন স্থগিত করা হচ্ছে।’