Image description

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী পরিচালক জিয়াউর রহমান ভুঁইয়া। টানা ১৮১ দিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘পালিয়ে’ ফেসবুকে আওয়ামী লীগের পক্ষে পোস্ট দিতেন নিয়মিত। অবশেষে এই কর্মকর্তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত ৬ মে থেকে টানা বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং গত বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে অশ্লীল ও শিষ্টাচার বহির্ভূত মন্তব্য করায় চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) নোবিপ্রবির রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. তামজীদ হোসাইন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ কথা বলা হয়। সেখানে তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ছুটি ছাড়া বিনা অনুমতিতে বিদেশ গমনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়, অননুমোদিত ভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বিদেশে গমন করেন যা, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ২(চ) অনুযায়ী ‘পলায়ন’। এছাড়া একজন সরকারি চাকরিজীবী হয়েও রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রকাশ করায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ,২০০১ এর ধারা ৪৭(৫) এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। 

এছাড়া নোটিশে আরও বলা হয়, গত ২৮ মে আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হলে সেটির জবাব যথাযথ হয়নি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি আপনাকে পুনরায় ৭ জুলাই ২ আইনজীবীর মতামত এবং ৩১ জুলাই প্রেরিত নোটিশের জবাব না দেওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর নোবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ৬৭তম সভার আলোচ্য সূচি-১৮ এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপনাকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০১ এর ৪৭(৮) ধারা অনুযায়ী এবং সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল ) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) ও (গ) অনুযায়ী নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর সহকারী পরিচালক (সামরিক বরখাস্ত) পদ থেকে চূড়ান্ত বা স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হলো। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কোনো লেনদেন থাকলে সেটি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও বিধি অনুযায়ী নিষ্পত্তি করা হবে বলে নোটিশে বলা হয়।