জকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা। আজ রবিবার (২ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে মাসুদ রানা বলেন, জকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, জবিয়ানরা এই ষড়যন্ত্র কোনভাবেই সফল হতে দিবে না। প্রয়োজনে জবিতে জুলাই ফিরবে তবুও জকসু নির্বাচন হবে এবং হতেই হবে।
এদিকে আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ-২০২৫ নির্বাচনের সময় পেছানোর দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, তবে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন চাচ্ছে শাখা ছাত্রশিবির।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে জকসু নির্বাচন ২০২৫-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসানের সভাপতিত্বে ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় নির্বাচনের সময় নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানায় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও অন্যান্য রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এদিন জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমরা ডাকসু, জাকসু, চাকসু, রাকসু নির্বাচন দেখেছি। সেখানে তফসিল ঘোষণার পরে তারা ২ মাস, পক্ষান্তরে ৩ মাস, এমনকি ৪ মাস পর্যন্ত সময় পেয়েছে। কিন্তু আমাদের নির্বাচন ঘোষণা হয়েছে ২৭ নভেম্বর। এদিকে আমাদের সাংগঠনিকভাবে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে যেখানে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি রয়েছে ক্যাম্পাসে।’
তিনি বলেন, ‘এরকম হলে আমরা বিধিমালা অনুযায়ী ক্যাম্পাসে কোনো প্রোগ্রাম করতে পারব না। এজন্য বিধিমালায় পরিবর্তন আনতে হবে। নির্বাচনের ৯৬ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অনুমতিক্রমে আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে এবং নির্বাচনের সময়সীমা পিছিয়ে নিতে হবে।’
ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রশাসন জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছিল, সে অনুযায়ী নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্ব হলো নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজন করা। শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছানোর বিষয়টি বিবেচনায় ৪৮ বা ৯৬ ঘন্টা পর্যন্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতির দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে নির্বাচন পেছানো যাবেনা।”
এদিকে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, “শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, সকল শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং সার্বিক দিক বিবেচনায় নির্বাচনের সময় পেছানোর বিষয়টি বিবেচনায় রাখা যেতে পারে।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ ও হল শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্ররাজনৈতিক ও সাংবাদিক নেতারা।