Image description

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ভবঘুরে ও অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ডাকসু, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করতে দেখা গেছে হকারদের।

তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মিছিলে যোগ দেয় বামপন্থি ছাত্র সংগঠনগুলো। শুধু তাই নয়, তাদের সহযোগিতায় ফের কিছু অবৈধ দোকান-পাটও বসানো হয়। যেগুলো পরে ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি যুবায়ের ও সদস্য সর্ব মিত্র চাকমার নেতৃত্বে উচ্ছেদ করা হয়।

এরপর ডাকসুর কার্যক্রমের সমালোচনা করে এবং প্রশ্ন তুলে ফেসুবকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বামপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘শিক্ষক নেটওয়ার্ক’ -এর নেত্রী ও ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা। তার প্রশ্নের বিপরীতে ফেসবুকে উল্টো প্রশ্ন তুলেছেন ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।

ফেসবুকে অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা লেখেন, ডাকসুর গঠনতন্ত্রটা তো কোথাও দেখি না। কেউ শেয়ার করবেন, দেখি কোথায় লেখা আছে যে, ডাকসুর নামে গুন্ডামি জায়েজ!

ড. সামিনা লুৎফার বক্তব্যের জেরে মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ প্রশ্ন তুলে ফেসবুকে লেখেন, শিক্ষক নেটওয়ার্কের কোনো গঠনতন্ত্র থাকলে শেয়ার করার অনুরোধ। দেখতে চাই, তাদের গঠনতন্ত্রে কোথায় বলা আছে যে, ক্যাম্পাসে গানজুট্টি, জাতীয় মাদকাসক্তি, ভবঘুরে, পাগল, বহিরাগত, টোকাই ও অবৈধ সবকিছুকে শেল্টার দিতে হবে। বহিরাগত এনে ক্যাম্পাসের কর্মচারীদের রক্ত ঝরাতে হবে।