
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থীজোটের ভিপি পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ইতিমধ্যে দেখেছি কয়েকজনের নাকি হাতের অমোচনীয় কালি প্রায় মুছে যাচ্ছে একেবারেই পুরা উঠে গেছে এরকম না প্রায় মুছে যাচ্ছে। গতকাল চাকসুতে এ সমস্যা হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছি, এখানে যেন এমনটি না হয়। কিন্তু প্রশাসনকে বিভিন্ন সমস্যা আগে থেকেই কিন্তু অবহিত করি। কিন্তু প্রশাসন এগুলো তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয় না কেন আমরা বুঝতে পারি না। আমরা আগে থেকেই যেগুলো ব্যাপার অবহিত করি সেগুলো ব্যাপারে তারা যেন গুরুত্ব তারা গুরুত্ব দিলে আরো নির্বাচনটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা তাদের জন্য সুবিধা হতো। এখন যদি কোন পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ থাকে তারা যেন নেয় অমোচনীয় কালীর ব্যাপারে যেন কোন অভিযোগ না আসে তারা বিষয়টি দেখবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় জুবেরী ভবন ভোটকেন্দ্রে ভোটদান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মিলিত শিক্ষার্থীজোটের ভিপি পদপ্রার্থী জাহিদ বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছরের অপেক্ষা শেষে আজকে রাকসু অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু সুদীর্ঘ অপেক্ষা এটা কিন্তু যেনতন অপেক্ষা না এই অপেক্ষার পরে আজকে নির্বাচন হচ্ছে তাও আবার চারবার নির্বাচন পেছানোর পরে। আবার ডাকসু, জাকসু ও চাকসুতে নির্বাচনের প্রচারণার সময় কিন্তু কম ছিল। এখানে নির্বাচনী প্রচারণার সময়টাও সবচেয়ে বেশি দীর্ঘায়িত ছিল প্রায় ২৯ দিনের মত। তো আমরা যারা প্রার্থী এবং যারা ভোটার তারা প্রচারণা চালিয়েছি। আমাদের অনেক সমস্যা হয়েছে। আর্থিক সমস্যা, পরিশ্রমের সমস্যা, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, প্যানেলের প্রার্থীরা সবাই মিলে অনেকের কষ্ট হয়েছে দীর্ঘ প্রচারণার কারণে। কিন্তু ভোটাররা, প্রার্থীরা আমরা শিক্ষার্থীরা এটা উপভোগ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা চাই নির্বাচনটা সুন্দরভাবে হোক। অবশেষে আজকে সেই মাহেন্দ্রখন চলে এসেছে। আমি একটু আগেই ভোট দিলাম। নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু মনে হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছে। একটু সময় গড়ালে আরো শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আমরা মনে করি। বিশেষ করে গতকাল রাতে আমরা পরিবহন চত্রে এবং বিনোদপুরে সহ বিভিন্ন ক্রাউড প্লেসে যেভাবে শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন আনন্দঘন মুহূর্তগুলো দেখেছি। যেভাবে তাদের উৎসবমুখর পরিবেশগুলো দিয়েছি দেখেছি। হাতে মেহেদী দেয়ার পরিবেশগুলো দেখেছি। এ দিবসগুলো দেখে আমরা খুশি হয়েছি যে যেই রাক্স নির্বাচনের জন্য আমরা কষ্ট করেছি ছাত্রশিবির শুধু নয় সকল শিক্ষার্থীরা মিলে যে রাকসু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছি সেটা আসলেই শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে গ্রহণ করেছে।