Image description
মীর সুমাইয়া আহমেদ লায়লা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির মাঠে যখন দলীয় প্যানেল আর প্রভাবশালী গোষ্ঠীর দাপট বেশি, তখন একাই দাঁড়িয়ে নজর কেড়েছেন সমাজতত্ত্ব বিভাগের (২০-২১ সেশন) শিক্ষার্থী মীর সুমাইয়া আহমেদ লায়লা। যিনি ক্যাম্পাসে আবার পরিচিত লায়লা এল ফাউলি নামেও। এবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চাকসুর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদে, কোনো প্যানেলের ছায়া ছাড়াই।

তিনি বলেন, “কামানগোলার সামনে তিতুমীর যদি বাঁশের কেল্লা বানিয়ে লড়তে পারেন, আমি-ও একা দাঁড়িয়ে লড়তে পারব।”

আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নলায়লার ইশতেহারে শিক্ষার্থীদের জন্য ১৫ দফা প্রতিশ্রুতি রয়েছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো—বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ান-স্টপ ডিজিটাল সেবা চালু করা।

লাইব্রেরি ডিজিটালাইজেশন ও বৈশ্বিক রিসোর্স সহজলভ্য করা।

মানসিক স্বাস্থ্য সেবা ও আধুনিক মেডিকেল সেন্টার।

আবাসনে ডিজিটাল সিট বরাদ্দ ব্যবস্থা।

নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি ও নিরাপদ পরিবেশ।

Learning Management System চালু করা।

গবেষণায় বিভাগীয় তহবিল ও শিল্প-একাডেমিয়া যৌথ প্রকল্প।

অস্ত্রনিষিদ্ধ শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস ও সিসিটিভি ব্যবস্থা।

শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়াতার ঘোষিত কর্মসূচি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ইতিমধ্যেই চোখে পড়ছে।

একজন শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছেন—“ইশতেহারগুলো সুন্দর, তবে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে পরিষ্কার আলোচনা দরকার। বিশেষ করে আবাসন, পরিবহন ও ডিজিটাল সেবা—এসবের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা কীভাবে কাটাবেন, সেটা শুনতে চাই।”

আরেকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য—“প্যানেল ছাড়া দাঁড়ানোই সাহসের ব্যাপার। যদি বাস্তবায়নের রূপরেখা দেখাতে পারেন, তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থাই হবে তার শক্তি।”

একার ভরসা, সবার আশালায়লা বিশ্বাস করেন, রাজনীতি মানেই ক্ষমতা নয়; বরং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

তিনি বলছেন—“আপনাদের ভরসায় দাঁড়ালাম একাই কেন্দ্রীয় সংসদে নির্বাহী সদস্য পদে। ফি-আমানিল্লাহ।”

বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতিতে লায়লার এই সাহসী পদক্ষেপ যেন নতুন এক বার্তা দিচ্ছে—প্রতিনিধিত্ব মানে প্যানেলের আশ্রয় নয়, বরং শিক্ষার্থীদের বিশ্বাস আর আস্থাই সবচেয়ে বড় শক্তি।