Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) প্যানেল ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদে’র। ২৮ পদের একটিতেও জেতেননি কেউ। ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের সর্বসাকুল্যে পেয়েছেন ১১০৩ ভোট। জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদারের প্রাপ্ত ভোট ২১৩১টি। একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর প্রার্থিতা ফিরিয়ে নেওয়া মাহিন সরকার পেয়েছেন ৩৭ ভোট।

তবে এজিএস পদে কিছুটা চমক দেখিয়েছে বাগছাস। প্রথম চমকটি ছিল এ পদে প্রার্থী সংখ্যা। দল থেকে কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আশরেফা খাতুনকে মনোনয়ন দিলে ‘বিদ্রোহ’ করে ‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে একই পদে মনোনয়ন তোলেন চারজন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে, ৫ জন প্রার্থীর লড়াইয়ে এজিএস পদে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন এক ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ডাকসু নির্বাচনে এজিএস পদে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর আল হাদি মায়েদ পেয়েছেন ৫০৬৪ ভোট। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন বাগছাসের বিদ্রোহী প্রার্থী তাহমীদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরী। দলের চারজনের সঙ্গে বিদ্রোহ করে তিনি বাক্সে নিয়ে এসেছেন ৩০০৮টি ভোট।

তবে তাহমীদ আল মুদ্দাসসিরের ধারে-কাছেও থাকতে পারেননি দলীয় প্রার্থী আশরেফা খাতুন। তিনি সর্বোচ্চ ৯০০ ভোট পেয়েছেন। একই পদের অন্য প্রার্থীদের মধ্যে মো. আশিকুর রহমান জীম ৭৯৬, মো. হাসিবুল ইসলাম ৫০০ এবং সানজানা আফিফা অদিতি পেয়েছেন ৩৭৩ ভোট।

দলটির নেতাকর্মীরা বলছেন, দলীয় কোরামবাজির কারণে একই পদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নেতা প্রার্থিতা করেছেন। এতে দলীয় ভোট ভাগ হয়েছে। তারা বলছেন, কোরামবাজি না করে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রার্থী ঘোষণা করলে চরম ভরাডুবির মধ্যেও এজিএস পদটি ছিনিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হতে পারত।