Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট। এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম ফরহাদ। তিনি পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট। 

 

বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএস এই শীর্ষ ৩ পদেই বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।

প্রকাশিত ফলাফলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে জয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম)। তিনি পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। 

এজিএস পদে জয় পেয়েছেন শিবির সমর্থিত প্যানেলের মহিউদ্দিন খান। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে রাত পৌনে ২টা থেকে ধাপে ধাপে ফল ঘোষণা শুরু হয়। 

 

এর আগে মঙ্গলবার দীর্ঘ ছয় বছর পর ডাকসু ও হল সংসদের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে যা বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে মোট ৮১০ বুথে ভোট গ্রহণ করা হয়। প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত ছিলেন। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩ পদে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা।

ভোট গ্রহণ শেষে জানা যায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ৮০.২৪ শতাংশ, অমর একুশে হল ৮৩.৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হল ৮১.৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হল ৮২.৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ৮৪.৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ৮৩ শতাংশ, রোকেয়া হল ৬৫.৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ৬৮.৩৯ শতাংশ।

এছাড়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ৬৭.০৮ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হল ৮২.৫০ শতাংশ, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল ৮৩.৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হল ৮৫.০২ শতাংশ, সূর্যসেন হল ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ৭৫ শতাংশ, শেখ মুজিবুর রহমান হল ৮৭ শতাংশ, কবি জসীম উদ্দীন হল ৮৬ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হল ৬৪ শতাংশ, শামসুন নাহার হল ৬৩.৬৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।

ভিপি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৫ জন প্রার্থী। এছাড়া জিএস পদে ১৯ জন ও এজিএস পদে ২৫ জন প্রার্থী লড়াইয়ে ছিলেন।