
শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান, শিক্ষকদের প্রতি আস্থা এবং সমাজিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্রীয় নীতির সম্মিলনে ফিনল্যান্ড গড়ে তুলেছে এক বিস্ময়কর শিক্ষাব্যবস্থা। এখানে পরীক্ষার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় শিক্ষার্থীর কৌতূহল, সৃজনশীলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন।
১. শিক্ষা জাতীয় অগ্রাধিকার
ফিনল্যান্ডে শিক্ষা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উন্নতির পথ নয়, বরং জাতীয় উন্নয়ন ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৌশল। সরকার থেকে পরিবার সব স্তরে শিক্ষার প্রতি রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা।
২. শ্রদ্ধার সঙ্গে নির্বাচিত শিক্ষকবৃন্দ
ফিনল্যান্ডে শিক্ষক হতে চাইলে মাস্টার্স ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। শিক্ষকের আসনে বসার জন্য পাঁচজনের মধ্যে একজনেরই সুযোগ হয়। প্রতিযোগিতামূলক এই পেশাটি ফিনল্যান্ডে অত্যন্ত সম্মানিত।
৩. শ্রেণিকক্ষে স্বাধীনতা
জাতীয় পাঠ্যসূচি থাকলেও শিক্ষকরা তাদের পাঠদানের কৌশল ও উপকরণ নিজের মতো নির্বাচন করতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাদান সহজ হয়।
৪. সমতা নিশ্চিত করা স্থানীয় স্কুলব্যবস্থা
বেশিরভাগ শিক্ষার্থী স্থানীয় পাবলিক স্কুলে পড়ে। ধনী-গরিব সবাই একই মানের শিক্ষা পায়। প্রাইভেট স্কুল বিরল এবং সেগুলোও জাতীয় নিয়ম মেনে চলে ও সরকারি অর্থায়নে পরিচালিত হয়।
৫. পরীক্ষায় নয়, উৎসাহে গুরুত্ব
ফিনল্যান্ডে বারবার পরীক্ষা দিয়ে মান যাচাইয়ের চেয়ে ছাত্রের শেখার ধরন বুঝে তাকে সহায়তা করাই মুখ্য। ফিডব্যাকের মাধ্যমে চলে মূল্যায়ন।
৬. রাষ্ট্রের সহায়তা
ফ্রি মিড-ডে মিল, স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করে তাদের মনোযোগ ধরে রাখা হয় লেখাপড়ায়।
৭. কেন কাজ করছে এই মডেল?
শিক্ষার্থীদের কেন্দ্র করে গড়ে উঠা নীতি, দক্ষ শিক্ষকবর্গ এবং সংস্কৃতিগত শিক্ষামূল্যবোধ এই তিনের সম্মিলনেই সম্ভব হয়েছে ফিনল্যান্ডের এই আশ্চর্য সাফল্য।