Image description

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি নাজমুল হাসান নাঈমের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এলাকায় তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় রাজনীতি, ছাত্রদল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, নাজমুল হাসান নাঈম সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। সম্প্রতি ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রুপে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এক মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা গেছে, ছাত্রদল নেতা নাঈম একজন যুবতীর সঙ্গে একটি কক্ষে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। এবং তাদের মধ্যেই একজনই ভিডিওটি ধারণ করেছে। ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের ওয়ার্ড সভাপতি নাজমুল হাসান নাঈম সংবাদকর্মীদের কাছে দাবি করেছেন, ‘একটি চক্র ওই মেয়েটির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ২০২১ সালে আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। সে মজার ছলে ভিডিওটি করেছিল। পরে মেয়েটি তার মোবাইল ফোন সারাতে দেয়ার পর সম্ভবত সেখান থেকে ভিডিওটি ছড়িয়েছে। এটি সম্পূর্ণভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এটি ছড়ানো হচ্ছে।’

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রফিক মৃধা বলেন, ‘নাঈম কিছুদিন আগে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মামলায় কারাগার থেকে জামিনে বের হয়েছে। তবে সে ছাত্রদলের কেউ নয়। আমাদের কমিটিতে তার কোনো নাম নেই। ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় ছাত্রদল নেবে না।’

এদিকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এলাকায় নানামুখী আলোচনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড দুঃখজনক। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে এমন কাজ কাম্য নয়। এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত।’