
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে এনে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে পোস্টারিং করেছেন একদল শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের উদ্যোগে এসব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
আজ রবিবার (২৯ জুন) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. এনামুল হক সজীবের উপস্থিতিতে এই পোস্টারগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী। তবে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই পোস্টারগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
এসব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার খবর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। মোহাম্মদ ইশরাক নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, এই পোস্টারটি ছিঁড়েছেন সহকারী প্রক্টর এনামুল হক সজীব, যিনি চলমান হয়রানির কেইসে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেলে তা নির্দিষ্ট আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। সেই প্রক্রিয়া শেষ না হতেই আমরা কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে পারি না। অভিযোগ পাওয়া মানেই দোষী প্রমাণিত হওয়া না। এমনও হতে পারে পরবর্তীতে দেখা গেলো তিনি নির্দোষ। তখন এই যে পোস্টারিং করে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হলো এটার সমাধান কী হবে? আমাদের এই সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেটা একটা আইনগত প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তাই এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এইরকম পোস্টারিং করা ঠিক নয়।
এই ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর ড. এনামুল হক সজীব বলেন, উনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেই অনুযায়ী ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি কাজ করছে। একজন দোষী না নির্দোষ এটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেলে তারপর বুঝা যাবে। তার আগে আমরা কাউকে দোষী বলতে পারি না।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে করেছে এক শিক্ষার্থী। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ‘ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং’ কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই কমিটির কাজ চলমান রয়েছে।