Image description

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বক্তব্য নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেছেন, আমার পুরো বক্তব্যের খণ্ডিত একটি অংশ প্রচার করে ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে। এই জাতির পরিবর্তন হবে কিভাবে? বক্তব্যের পুরোটা শুনে মন্তব্য করা উচিত। শুধু জিয়াউর রহমান পরিবারকে নিয়ে নয়, তার সঙ্গে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের আরও ৩০০ সৈনিকও জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। তারাও স্ত্রী-সন্তান, পরিজন নিয়ে ভালনারেবল অবস্থায় ছিলেন। তাদের কথাও বলেছি।

তিনি আরও বলেন, তাদের (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩০০ সৈনিক) সবাইকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করা উচিত। আমি নির্মোহভাবেই সবার কথা স্মরণ করে বক্তব্য রেখেছি। বক্তব্যের কোনো অংশ কারো পছন্দ নাও হতে পারে। সেজন্য সমালোচনা হতেই পারে। কিন্তু সমালোচনা এবং কুৎসা রটনা ভিন্ন জিনিস। আমার ক্ষেত্রে সমালোচনার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত।

এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান মন্তব্য করেন, মানি, আর না মানি, পরিবারের একজন যোদ্ধা বা বিপ্লবীর জন্য অন্যরা অসুরক্ষিত বা হুমকির মুখে পড়ে গেলে এবং তারা তা সহ্য করলে সেটাও কম ত্যাগ না। ৭১-এ এবং ২৪-এ অনেকের পরিবারকেই সেই ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, আবেগের বসে বা শ্রদ্ধাবোধ থেকে বা গুরুত্ব বুঝাতে গিয়ে কোনো বড় মন্তব্য করার আগে তা জনসাধারণ গ্রহণ করবে কিনা, তা ভালোভাবে চিন্তা করা উচিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া মন্তব্য করেন- জিয়া পরিবার নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসায়ীদের ও তাদের প্রজন্মদের গা জ্বালা-পোড়া করবে এটাই স্বাভাবিক!

এর আগে শুক্রবার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া তার বক্তব্যের একটি খণ্ডিত অংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে উপাচার্য বলেন, ২৫ মার্চ রাতে যখন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নিজের পরিবারকে অরক্ষিত রেখে তরুণ আরাফাত এবং তারেককে বেগম খালেদা জিয়ার হাতে তুলে দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যেতে পারে, দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং প্রথম শিশু মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন শিশু তারেক ও শিশু আরাফাত।

তিনি বলেন, সেদিন জিয়াউর রহমান তার ব্যাটালিয়নের ৩০০ সৈনিককে নিয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন- আমরা স্বাধীনতা ঘোষণা করব এবং প্রাণ দেব দেশের জন্য। সেই ৩০০ সৈনিকের স্ত্রী এবং সন্তানদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় সর্বাগ্রে স্থান পাওয়া উচিত।