Image description

‎খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম আজ রবিবার (৪ মে) থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ক্লাসে ফেরেননি শিক্ষকরা। ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি। শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িতদের আগে শাস্তি চান তারা।

‎‎গত ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ৪ মে থেকে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সব ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছিল শিক্ষক সমিতি।

‎শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা ক্লাসে ফিরতে আগ্রহী থাকলেও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত ছাড়া তারা ক্লাসে ফিরবেন না। ‎

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২০ ব্যাচের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই, তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক। এমনিতেই আমরা অনেক পিছিয়ে পড়েছি।’

‎‎তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব বিভাগের শিক্ষকদের কাছে গিয়েছি। তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। এ ছাড়া আমরা অফিশিয়ালি প্রেস ব্রিফিং করে ক্ষমা চেয়েছি। ডিএসডাব্লিউ-এর কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি, যেটা সব শিক্ষককে মেইল করা হয়েছে।’

‎‎ক্লাস শুরু করার বিষয়ে শিক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গি কি ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষক সমিতির সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো শিক্ষক ক্লাসে ফিরতে আগ্রহী নন।

এ বিষয়ে কথা বলতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।