
জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিলসহ তিনদফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে মিডটার্ম পরীক্ষা বর্জন করে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেন জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের তিনদফা দাবিগুলো হলো- জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর টেক (১০ম গ্রেড) পদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যমূলক ‘ডিপ্লোমা প্রকৌশল’ ডিগ্রি থাকতে হবে এবং ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর সহ দেশের কারিগরি প্রতিষ্টানের সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রান্ডের না, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাবের সহকারী কর্মচারী। তারা মূলত অষ্টম কিংবা এসএসসি পাস। তাদের ডিপ্লোমার শিক্ষক হওয়া কোন যোগ্যতাই নেই, তারা যদি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হয়, তাহলে ডিপ্লোমা ছাত্ররা কতটুকু শিখবে। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর শুধু মাত্র ডিপ্লোমা ইন ইন্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের জন্য। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে প্রমোশন দেয়ার সিদ্ধান্ত কারিগরি সেক্টর ধ্বংসের পায়তারা বলে মনে করছেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
সিলেট পলিটেকনিকের ইলেকট্রিক্যাল টেকনলোজির শিক্ষার্থী ও চলমান আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক মো. তানজিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সকল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে রাতারাতি অবৈধভাবে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ড। দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে রাত ২টায় রেজাল্ট দিয়েছে, দিনে ৫০০ জন করে ভাইভা নেয়া হয়েছে। আমরা তাদের নিয়োগের ব্যাপারেও দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করি।
তিনি আরও বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে প্রমোশনের জন্য আদালতে মামলা করেন। গতকাল (সোমবার) আদালত তাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটা কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা আদালতের প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখে এ রায় প্রত্যাখান করছি। ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের স্টুডেন্টরা আজকের মিডটার্ম, ক্লাস সব কিছু বর্জন করে রাস্তায় আন্দোলন করেছে। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান তিনি।