
জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে হাসিনা ও শেখ পরিবারের নামের স্থাপনাগুলো। ৫ আগস্টের পর থেকে বারবার শিক্ষার্থীরা দাবি জানিয়ে আসলেও কাগজে কলমে হলগুলোর নাম পরিবর্তন করেনি প্রশাসন।
রেজিস্টার অফিস সূত্রে জানা যায়, হাসিনা ও শেখ পরিবারের নামের স্থাপনাগুলো হলো, শেখ রাসেল হল, শেখ হাসিনা হল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল।
এর আগে (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইন্সটিটিউটে গিয়ে সেখানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও আল-বেরুনী হলের দেয়ালের আঁকা গ্রাফিতি ও দেয়ালচিত্রে রং দিয়ে মুছে দেন। এরপর শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা হলের সম্মুখে অবস্থান নিয়ে সেখানে থাকা শেখ হাসিনার ম্যুরালটিও ভেঙে ফেলেন৷ এছাড়া, শেখ রাসেল হলের শিক্ষার্থীরা সে হলের নাম পরিবর্তন করে 'বিজয়-২৪ হল' রাখেন। এবং রাত ২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক নামিয়ে ফেলেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা।
স্থাপনাগুলোর নাম পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার এ বি এম আজিজুর রহমান বলেন, স্থাপনার নাম পরিবর্তনের বিষয়টি ১৭ তারিখ সিন্ডিকেটের বিবিধ এ উল্লেখ আছে। তবে বিবিধ এ থাকলেও চূড়ান্ত আলোচনা হবে কিনা এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেনি।
গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আবদুর রশিদ জিতু বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনা ও তাদের পরিবারের নামে যেসব স্থাপনা রয়েছে সেগুলো পরিবর্তনের জন্য আমরা দুইবার স্মারকলিপি দিয়েছে, প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করেছে এবং আমরা জুলাই আন্দালনে শহীদদের নামে নামকরন করার প্রস্তাব রেখেছি, আমরা আশা করছি আগামী ১৭ তারিখ যে সিন্ডিকেট আছে সেখানে আমরা একটা ফলাফল পাবো, এবং আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই সিন্ডিকেটে যেন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।