
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে উত্তরপত্রসহ প্রশ্ন সরবরাহের অভিযোগে বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাজী এম. আনিছুল ইসলাম কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না এবং তদন্ত চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশও নিষিদ্ধ থাকবে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে রেজিস্ট্রার দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩য় বর্ষের ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়। ৩ মার্চ ও ৬ মার্চ আরও দুটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১৩ মার্চ আরেকটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হাওয়ার কথা ছিল। গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে একটি উড়ো মেইলের মাধ্যমে চিঠি আসে। সেই চিঠিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষক কাজী আনিছুল ইসলামের সাথে একই বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীর সাথে গোপন সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরে ওই নারী শিক্ষার্থীকে শিক্ষক আনিছুল ইসলাম উত্তরপত্রসহ প্রশ্ন সরবরাহ করে যাচ্ছিলেন। উড়ো মেইলের মাধ্যমে চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টিতে গুরুত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩য় বর্ষ ২য় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।