Image description

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য-বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, হামাস ‘আদর্শিকভাবে দুর্ধর্ষ’ নয়। টাকার কার্লসনের এক পডকাস্টে শুক্রবার (২১ মার্চ) তিনি এ কথা বলেন। 

৯০ মিনিটের এক সাক্ষাৎকারে উইটকফ চলমান গাজা যুদ্ধে ইসরাইল, হামাস এবং কাতারের উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন।  মিশর ও সৌদি আরবের মতো দেশগুলোকে অস্থিতিশীল করার জন্য গাজা যুদ্ধ নিয়ে তার উদ্বেগ স্বীকার করেছেন। 

পডকাস্টে উইটকফ বলেন, ‘হামাস কী চায়? আমার মনে হয় তারা শেষ সময় পর্যন্ত সেখানে থাকতে চায়। তারা গাজা শাসন করতে চায়, এবং এটি অগ্রহণযোগ্য। আমাদের জানা উচিত ছিল যে... তারা যা চায় তা অগ্রহণযোগ্য। ’

তিনি বলেন, আমাদের কাছে যা গ্রহণযোগ্য তা হলো (তাদের) সামরিকীকরণ করা।  তাহলে হয়তো তারা সেখানে কিছুটা থাকতে পারে... রাজনৈতিকভাবে জড়িত হতে পারে। 

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু... গাজায় আমরা কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন চালাতে পারি না, কারণ সেটা ইসরাইলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাহলে আমাদের ঠিক একই অভিজ্ঞতা হবে, প্রতি পাঁচ, দশ, পনেরো বছর অন্তর আমাদের আরেকটি ৭ অক্টোবরের অভিজ্ঞতা হবে। ’

হামাসের সঙ্গে আলোচনা কেমন হবে- তা জানাতে চাইলে উইটকফ স্বীকার করেন যে তিনি সরাসরি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির সঙ্গে কথা বলছেন না এবং তিনি কাতারকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ব্যবহার করছেন।

এই বছরের শুরুতে ট্রাম্পের জিম্মি-বিষয়ক দূত অ্যাডাম বোহেলারের হামাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপনে সরাসরি আলোচনার বিষয়ে মার্কিন দূত স্বাক্ষর করেছিলেন।  তবে ইসরাইল সেই তথ্য ফাঁস করে দেওয়ায় পর ওয়াশিংটন আলোচনা বাতিল করে দেয়। 

ট্রাম্পের এই বিশেষ দূত আরও বলেন, ‘এই সংঘাতের শুরুতে আমরা যা শুনেছিলাম তা হলো হামাস আদর্শিক, তারা মরতে প্রস্তুত। আমি ব্যক্তিগতভাবে - এবং আমি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলি... আমি তাকে বলেছিলাম, ‘‘আমি মনে করি না যে তারা আদর্শিকভাবে এতটা আবদ্ধ'’’। তারা আদর্শিকভাবে দুর্ধর্ষ নয়। আমি কখনও তা বিশ্বাস করিনি। ’

হামাস সম্পর্কে তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তা জানতে চাওয়া হলে উইটকফ জানান, তিনি প্রচুর মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন পড়েছেন এবং ‘আলোচনার ছন্দ এবং গতি’ অনুভব করেছেন।  

তিনি আরও বলেন, তখনই আমি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে তারা বিকল্প চায়। 

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইসরাইল