অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, একদল আরেকদলকে এক্সপ্লোর করতে চাইছে এটার রেজাল্ট হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিপর্যয় এবং তার ফলাফল-‘২৪। আওয়ামী লীগ আজ যা ভোগ করছে, তা তাদের ‘রাজনৈতিক পাপের ফল’।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার দেয়া নিয়ে যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে আমি ফেসবুকে লিখেছি। বিষয়টি স্পষ্ট করা ভালো। এ পুরস্কারের সাথে মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলা একাডেমির কিছু নিয়ম আছে, সেগুলো অনুসরণ করে তারা এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। যখন পুরস্কারটা ঘোষণা করা হলো, যখন আমরা বিতর্ক এবং সমালোচনা দেখতে এবং শুনতে থাকলাম মানুষের কাছ থেকে, তখন আমরা দেখার চেষ্টা করলাম কী কারণে এমন হলো। পরে দেখা গেল, এ পুরস্কারের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ত্রুটি ছিল।’
তিনি বলেন, ‘বাংলা একাডেমির ফেলোরা এই পুরস্কারের মনোনয়ন দেন। পুরস্কার কমিটি ওই মনোনয়ন চূড়ান্ত করে। এসব ফেলোর শিক্ষা-দীক্ষা-সংস্কৃতি ও রুচি বিবেচনায় তাদের পছন্দের লোককে মনোনয়ন দিয়ে থাকেন। আবার ওই ফেলোরা কোন আমলে নিয়োগ পেয়েছেন, এক্ষেত্রে সেটারও একটা প্রভাব থাকে। ফলে ওই মনোনয়ন যে ফেলোরা দেন তাদেরকে দিয়েই এই পুরস্কারের গতি নির্ধারণ করে ফেলা সম্ভব।’
সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘এই ফেলোরা চাইলে এক ধরনের যোগসাজশ করে এমনকি হিটলারকেও একাডেমি পুরস্কার দিয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখেন এবং ফেলোদের মনোনয়নের খাম পুরস্কার কমিটি যে সভায় খোলে, ওই সভাতেই সেটা পাস করতে হয়। এখন ধরা যাক, পুরস্কার কমিটিতে যে সাত-আটজন সদস্য আছেন, তাদের অনেকেই মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তির লেখালেখি সম্পর্কে না-ও জানতে পারেন। তারা চাইলেও মনোনীতদের লেখালেখি পড়ে দেখার সুযোগ পান না। আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টার মধ্যেই পুরস্কারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে হয়। এটা এক অদ্ভুত নিয়ম! যেমন আমি নিশ্চিত জানি, এবার পুরস্কার কমিটির মিটিংয়ে একজন সদস্য এই বিষয়ে আপত্তি করেন। এমনকি তিনি যে দু’জনের পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে তাদের যেকোনো একটা বই চান ১০ মিনিট পড়ার জন্য! সেটাও পারেননি।’
সূত্র : বাসস