‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ থেকে অবশেষে বাদ পড়েছেন অভিনেত্রী সাদিকা পারভীন পপি। এর আগে একই কারণে বাদ দেওয়া হয় অভিনেতা ফেরদৌসকে। নতুন করে পপিকে বাদ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমার পরিচালক আরিফুর জামান আরিফ। শিল্পীদের অসহযোগিতার কারণে দীর্ঘ সাত বছরে শুটিং শেষ করতে পারেননি নির্মাতা।
২০১৮ সালে ফেরদৌস ও পপিকে নিয়ে ছবিটির শুটিং শুরু করেছিলেন তরুণ নির্মাতা আরিফ। মাত্র দুই দিন কাজ এগোতেই ফেরদৌস ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজনীতি নিয়ে, অন্যদিকে পপি চলে যান আড়ালে। ফলে পরিকল্পনা অনুযায়ী আর শুটিং চালানো সম্ভব হয়নি। সময়ের পর সময় পার হলেও কেউই নির্মাতাকে স্পষ্ট কোনো শিডিউল দিতে পারেননি বলে জানান তিনি।
পরিচালক আরিফ বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধানের জন্য। কিন্তু কোনোভাবেই কুল-কিনারা পাওয়া যাচ্ছিল না। বহু বছর অপেক্ষার পর আর উপায় ছিল না– অবশেষে তাদের দুজনকেই বাদ দিতে হলো।’
সাদিকা পারভীন পপি। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
তবে ফেরদৌস-পপির জায়গায় কোন অভিনয়শিল্পীরা যুক্ত হচ্ছেন, সে বিষয়ে এখনই কিছু জানাতে চাননি পরিচালক। তাঁর ভাষায়, ‘পরিকল্পনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সময়মতো সব জানিয়ে দেব।’
এদিকে সিনেমার নতুন শুটিং শুরুর তারিখ ইতোমধ্যেই নির্ধারণ করেছেন নির্মাতা। ২০২৬ সালের ১৬ জানুয়ারি ক্যামেরা ওপেন হবে ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’-এর নতুন ধাপে। দিনটি বাংলা সাহিত্য জগতের অন্যতম কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ৮৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। বিশেষ এই দিনেই সিনেমার চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি আনুষ্ঠানিকভাবে সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন দর্শন অবলম্বনে নির্মিত এই ছবিতে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা ও নির্মাতা গাজী রাকায়েত। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী এবার আর কোনো বাধা ছাড়াই সিনেমাটি সম্পন্ন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন নির্মাতা।
