সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিজিটাল হয়রানির প্রতিবাদ জানাতে সংখ্যার আন্দোলন শুরু করেছেন অভিনয়শিল্পী, গায়িকা ও কলাকুশলীরা। হাতে-গালে-কপালে সংখ্যা লিখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা। প্রতিদিন একজন শিল্পী যতবার সাইবার বুলিংয়ের শিকার হন, সেই সংখ্যাই লিখে প্রকাশ করছেন তারা।
দীর্ঘদিন ধরেই নারী অভিনয়শিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, মডেলরা প্রায় প্রতিদিনই নানাভাবে হয়রানি সহ্য করে আসছেন। দিন দিন এই সাইবার বুলিং বেড়ে চললেও তার কোনো প্রতিকার খুঁজে পাচ্ছিলেন না তারকারা।
এ বিষয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানাতে শিল্পীদের একটা কোড বা নম্বর বেছে নেওয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবী।
ফাহমিদা নবী বলেন প্রতিবাদ হোক। আমিও এভাবে প্রতিবাদ করব। দিন দিন ফেসবুকে কেমন যেন হিংসাত্মক বিষয়টি বেশি দেখা যাচ্ছে। নারী শিল্পী দেখলে সেখানে হিংসাত্মক মন্তব্য করতেই হবে? একটা সময় ছিল, যখন মানুষ নিজের খেয়ে পরের বাসায় উঁকি দিত। বিষয়টি সেই রকমই মনে হচ্ছে। কমেন্টস করতেই হবে, তাও আবার নেতিবাচক।
তিনি আরও বলেন, কার মনে কী আছে, তা জানি না। জানা সম্ভব না। যারা নিম্নরুচির বা রুচিহীন, তারাই বাজে মন্তব্যগুলো করে।
অভিনেত্রী রুনা খান ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'আমার সংখ্যা ২৪। আজ আমি যতটা হয়রানি মন্তব্য পেয়েছি, এ সংখ্যাই এটি। কেউ হয়তো এটাকে শুধু একটি সংখ্যা মনে করবে, কিন্তু আমার জন্য এটা হলো প্রতিটি মুহূর্ত যা আমি সহ্য করেছি, প্রতিটি ক্ষত যা আমি বহন করেছি, এবং সেই প্রতিটি পদক্ষেপ যা আমাকে এগিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। এবার তোমার সংখ্যা বলো।'
এছাড়া সংখ্যার আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে দেখা যায়, তার সংখ্যা তিন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, 'তোমার নম্বরের গল্প বলো, আরও জোরে আওয়াজ তোলো। মানুষ হয়তো কেবল একটি সংখ্যা দেখতে পারে, কিন্তু আমি যা সহ্য করেছি এবং যা কাটিয়ে উঠেছি, তা সবই দেখতে পাচ্ছি। আপনার নম্বরটি শেয়ার করুন, আসুন একসাথে ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়াই।'
এছাড়া অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, রুনা খান, মৌসুমী হামিদ, আশনা হাবীব ভাবনা, শবনম ফারিয়াসহ আরও অনেক তারকা যোগ দিয়েছেন সংখ্যার আন্দোলনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে হাতে-গালে সংখ্যা লিখে ক্ষোভ জানিয়েছেন তারা।