খুব অল্প সময়ে অভিনয় দিয়ে মানুষের মনে অনবদ্য প্রভাব তৈরি করা অভিনেতা সালমান শাহ। এত কম সময়ে পাওয়া জনপ্রিয়তা এবং মৃত্যুর পরেও তার কীর্তি দীর্ঘদিন ধরে স্মরণীয় থেকে যাওয়া সত্যিই বিরল।
সালমান শাহ ছিলেন বন্ধুত্বপূর্ণ ও আন্তরিক স্বভাবের। তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন অভিনেতা তুষার খান। তুষার জানান, সালমান তাঁর বয়সে ছোট হলেও তাদের বন্ধুত্ব ছিল অসাধারণ। “আমাদের মধ্যে বড় ভাই–বন্ধু দুইরকম সম্পর্কই ছিল। প্রায় ২৪ দিন আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি, মাঝে কয়েকদিন অন্য ফিল্মেও ব্যস্ত ছিলাম। রাতে কাজ শেষ হলে সে তার বাসায় চলে যেত, আমি আমার বাসায় ফিরতাম। প্রায় প্রতিদিনই আড্ডা হতো। সালমান একজন সত্যিই ভালো মানুষ ছিলেন,” বললেন তুষার।
সালমানের অভিনয় শক্তি প্রসঙ্গে তুষার বলেন, “এত বছর হলো সে চলে গেছে, কিন্তু তার ফিল্মগুলো দেখলে মনে হয় যেন আজকের সিনেমা। এখনকার নতুন প্রজন্মও সালমানকে ভালোবাসে। এটা প্রমাণ করে যে, সে অভিনয় দিয়ে নিজের অমর জায়গা তৈরি করে রেখেছে।”
সালমানের মৃত্যুর দিনও তুষারের স্মৃতি কাঁপানো। তিনি বলেন, “সালমান যখন মন খারাপ থাকতো, প্রায়ই আমাকে ফোন করত। বলতো, ‘আমার ভালো লাগছে না, আমি তোমার বাসায় আসব।’ ওই দিন আমি আমেরিকা থেকে দেশে ফিরেছি। বিকেলে ডাবিংয়ের কাজ ছিল, কিন্তু ক্লান্ত হয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। সালমান আমাকে খুঁজেছিল, ফোন করেছিল, কিন্তু আমি ফোনে পৌঁছাইনি।”
পরদিন পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের কন্যা আন্নি ফোন দিয়ে জানান, সালমান সুইসাইড করেছেন। তুষার বলেন, “রেজা হাসমত আমাকে বলেন, ‘গতকাল তুমি কোথায় ছিলে?’ আমি তখন জানতে পারি, সালমান আমাকে খুঁজছিল। যদি আমি ফোনে বা কাছে থাকতাম, হয়তো এমন দুর্ঘটনা ঘটত না। সেই আফসোস সারাজীবন থাকবে।”