Image description

শোবিজ দুনিয়ার তারকাদের যেন বিতর্কের শেষ নেই। এবার সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করলেন সময়ের আলোচিত নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ। সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে নির্মাতার কিছু স্ক্রিনশট। যেখানে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে সংযুক্ত রয়েছে বান্নাহর ছবি।

 

সেখানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর সাথে কথোপকথনকালে বেশ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে দেখা যায় বান্নাহকে। কথা প্রসঙ্গে সেই শিক্ষার্থীকে বলেন, কত ভিকারুননিসার মেয়ে আমার সাথে কাটাইছে তোমার ধারণা নাই। প্রতিত্তোরে সেই নারী শিক্ষার্থী লিখেছেন, যা মুখে আসছে তাই বলে যাচ্ছেন। অবশ্য আপনার মত লো-বাজেটের পরিচালকের থেকে এর বেশি কি আসা করা যায়।

এসময় বান্নাহ ওই নারী শিক্ষার্থীর আপত্তিকর ছবি চাইলে তিনি বান্নাহকে ব্লক করে দেয়ার হুশিয়ারি দেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে বান্নাহ লেখেন, কথায় কথায় ব্লক ব্লক বলে কিসের অ্যাটিটিউড দেখাও? আমি চিনি ভিকারুননিসার মেয়েদের। ঢাকার ভেতরে প্রথম। কথোপকথনের এক পর্যায়ে ওই নারী শিক্ষার্থীকে অনুনয় করতে থাকে বান্নাহ তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য। এমনকি একসাথে .করার প্রস্তাব দেয় ওই নারীকে বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে দেখা গেছে এক প্রকার মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকে দাবি করছে এটা ফেইক তথ্য আবার অনেকেই সত্য বলে দাবি করছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সম্প্রতি নিজের ফেসবুকে ১০ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেন বান্নাহ।

ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশট নিয়ে বান্নাহ ওই ভিডিওতে বলেন, ‘আমাকে নিয়ে কিছু রিউমার হচ্ছে। কিছু স্ক্রিনশট অনলাইনে ভাসছে এবং মানুষজন বলছে, বান্নাহ ভাই এটা কি আপনি? কেউ কেউ বলছে ভাই এটা আপনি-ই। আবার একদম বলছে যারা আমার ভালোবাসার মানুষ, আমাকে যারা চেনে, আমাকে যারা ধারণ করে, যাদের কারণে আমি মাবরুর রশীদ বান্নাহ আজকে। যাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি তারা বলছে, এটা আপনি হতেই পারেন না। আপনার পার্সোনালিটির সাথে এটা যায়না।'

ভিডিও বার্তায় নির্মাতা আরও বলেন, 'আমাকে নিয়ে এর আগেও নভেম্বর ডিসেম্বরের দিক একটা ইন্ডিয়ান মেয়ের ছবি যেটা বাংলাদেশি মেয়ের বানিয়ে আমাকে নানানভাবে এক্সপোজ করার চেষ্টা করেছে। যদিও ওটা খালে পানি পায় নাই। কিন্তু এবার যেই চ্যাট তারা ভাইরাল করলো বা চেষ্টা করলো সেটা নিয়ে আমি বলতে চাই। এটা কারা করছে জানেন? যাদের মা আগস্টের আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে গিয়েছিল তারা। আন্দোলনে আমি মুখ খুলেছিলাম বলেই আমাকে টার্গেট করেই ওরা এসব করছে। আমাকে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে।'

সবশেষে বান্নাহ বলেন, 'আর যেই আপুর প্রোফাইল থেকে এসব ফাঁস করা হচ্ছে সেটা তার আইডি না। আমি যতদূর জানি যার ছবি ব্যবহার করছে উনি একজন স্বনামধন্য ইউনিভার্সিটির একজন শিক্ষিকা। আমি নাম প্রকাশ করতে চাইনা। আপনারা যারা রিউমার স্ক্যানারে কাজ করেন তারা যাচাই বাছাই করেন এবং প্রমাণ করেন যে এটা আমি ছিলাম। যদি প্রমাণ করতে পারেন যে ওটা আমি তাহলে আমি নিজেই মিডিয়া ছেঁড়ে দেবো। আমি নিজেই নিজেকে শাস্তি দেবো।'।'