Image description

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাকে সেখান থেকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

 

হিরো আলমের সহকর্মী সেলিম জানান, বুধবার বিকেলে হঠাৎ করে হিরো আলমের বুকে ব্যথা শুরু হয়। এরপর তার পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত শজিমেকের কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করান। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির পর পরই গণমাধ্যমকর্মীদের অতিরিক্ত ভিড় জমে। এতে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশে ব্যাঘাত ঘটে এবং কর্তৃপক্ষ তাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানায়।

 

শজিমেক হাসপাতালের স্টাফ নার্স মোর্শেদা বেগম বলেন, “কার্ডিওলজি বিভাগে অননুমোদিত লোকজনের প্রবেশ নিষেধ। কিন্তু হিরো আলমকে ভর্তি করার পর গণমাধ্যমকর্মীরা মাত্রাতিরিক্ত ভিড় করেন। তাই হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা বলা হয়েছে।”

পরে পরিবারের সদস্যরা হিরো আলমকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।

এ বিষয়ে শজিমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে রিয়া মনি নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া ও তালাক সংক্রান্ত জটিলতায় ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন হিরো আলম। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “রিয়া মনি মিথ্যা কথা বলে। তালাক আর পরকীয়া মেনে নিতে পারলাম না। হিরো আলম ওষুধ খেয়ে মরে না, আজকে সত্যি সত্যি মারা যাব। রিয়া মনির ভালোবাসা মিথ্যা ছিল, তাই মেনে নিতে পারলাম না। রিয়া মনিকে কত ভালোবাসি, আজ নিজেকে শেষ করে বুঝিয়ে দেব, আমিই রিয়েল ছিলাম। কাল বিকেল পাঁচটায় জানাজা আমার নিজ বাসভবনে।”

তবে এই পোস্টের একদিন পরেই ১৩ আগস্ট বিকেলে হিরো আলমের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে হার্ট অ্যাটাক করার খবরটি শেয়ার করা হয়।

হিরো আলম এর আগেও বিভিন্ন কারণে আলোচনায় এসেছেন। একবার স্ত্রীর তালাকের নোটিশ পেয়ে তিনি আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছিলেন, তবে পরিবারের অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসেন।