সুমাইয়া শিমু। অভিনেত্রী ও মডেল। সম্প্রতি চরকিতে প্রকাশ হয়েছে তাঁর অভিনীত সিরিজ ‘২ষ’। এই সিরিজের ‘বেসুরা’ গল্পে অভিনয়ের মাধ্যমে শিমুর ওটিটি অধ্যায়ে অভিষেক হলো। এই সিরিজ ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে–
ওটিটিতে আপনার যাত্রা শুরু হলো, কেমন লাগছে?
এখন ওটিটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। আমি নিজেও এই মাধ্যমের ভক্ত। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ওটিটিতে ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। ফলে মাঝেমধ্যে এই মাধ্যমে কাজের ইচ্ছা হতো। একটা সময় নুহাশ হুমায়ূনের পক্ষ থেকে চরকির ‘২ষ’ সিরিজে কাজের প্রস্তাব এলো। গল্প শুনে বুঝলাম, আমি যে ধরনের কাজ করতে চাই, তেমন একটি কাজ ‘২ষ’। যদিও শুরুতে কিছুটা নিমরাজি ছিলাম। কারণ, ঢাকার বাইরে গিয়ে কাজটি করতে হবে। তারপর যখন নুহাশের সঙ্গে কথা বললাম, তিনি কাজটি নিয়ে বিস্তারিত বললেন। তখন মনে হলো, একটু কষ্ট করে করা যায়। এই সিরিজের গল্পগুলো ফ্যান্টাসি, হরর ও মিস্ট্রি ঘরানার। গল্পগুলো লিখেছেন নুহাশ ও তাঁর মা গুলতেকিন খান।
নুহাশ হুমায়ূনের পরিচালনায় কাজ করলেন, কেমন লাগল?
নুহাশ হুমায়ূন প্রতিশ্রুতিশীল পরিচালক। এরই মধ্যে তিনি তাঁর আগের কাজগুলো দিয়ে প্রমাণ করেছেন। সব মিলিয়ে কাজটা করে ভালো মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, তিনি আরও অনেক ভালো কাজ আমাদের উপহার দেবেন।
প্রথমবারের মতো ওটিটিতে কাজ করলেন, কী মনে হয়?
ওটিটিতে যেভাবে কাজ হয়, সেটা খুব প্রফেশনাল। প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট আলাদা। আমি একজন অভিনয়শিল্পী। আমার কাজ অভিনয়। এর বাইরে অন্য কিছু নিয়ে আমাকে মাথা ঘামাতে হয়নি। তাই আমি আমার কাজে ফোকাস করতে পেরেছি। পুরো অ্যারেঞ্জমেন্ট অনেক সুন্দর ছিল। আমি উপভোগ করেছি। আর আমার মনে হয়, টিভি নাটকে সব সময় কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। একজন নির্মাতা চাইলেই মন খুলে কাজ করতে পারতেন না। বাজেটের কথা মাথায় রাখতে হতো। ফলে অনেক কিছুই সম্ভব হতো না। ওটিটিতে সে সীমাবদ্ধতা নেই বলে মনে হয়েছে। ফলে মন খুলে কাজ করতে পারছেন নির্মাতারা।
বেসুরায় আপনার অভিনীত চরিত্র প্রসঙ্গে ...
এই সিরিজে আমি ভিন্ন ধরনের একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটির পোশাক, সাজসজ্জা খুব মিনিংফুল ছিল। যখন এই সাজে সেটে উপস্থিত হতাম, তখনই মনে হতো কাজটা অনেকখানি সহজ হয়ে গেছে।
এখন থেকে কি পর্দায় নিয়মিত দেখা যাবে আপনাকে?
কাজ করব। তবে আগের মতো সারাক্ষণই শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকতে পারব না; যেগুলো আমার সঙ্গে যায় না। এখন অনেক ধরনের কনটেন্ট তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। বিভিন্ন স্টোরি নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছে। অবশ্যই ভালো কিছু কাজ করতে চাই। অনেকেই প্রস্তাব দিচ্ছেন। আমিও ভাবছি– কোনটা করব, কোনটা করা ঠিক হবে না। যেহেতু আগের মতো সারা মাস সময় দিতে পারব না, তাই যেটা আমার জন্য ভালো হয়, নিজের কাছে ভালো লাগে, সেই কাজগুলো করব।
আপনার ‘বেটার ফিউচার ফর উইমেন’ প্রতিষ্ঠানের কী খবর?
আমি সব সময় চেয়েছি, দেশের প্রতিটি নারী আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হোক। সে চাওয়া থেকেই এ প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছি। এরই মধ্যে নারীদের শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি– বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছি আমরা। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কাজ করব।
আপনার দুই সন্তানকে নিয়ে বলুন।
দুই দুষ্টুকে নিয়েই সারাবেলা। সারাক্ষণ তাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকি। কান্নাকাটি, জ্বালাযন্ত্রণা ভালোই চলছে। এসবই আমার জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
সংসার, প্রাতিষ্ঠানিক কাজ, অভিনয়– সব মিলে তাহলে দারুণ কাটছে আপনার?
সবার ভালোবাসা আর দোয়ায় ভালো আছি। সব সময় চেয়েছি, কাজের ক্ষেত্র, পরিবার– সব মিলে ভালো আছি।