Image description

মাইলস্টোন কলেজে গিয়েছিলেন কিন্তু তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করেছিলেন মডেল ও ইনফ্লুয়েন্সার বারিশা হক। তবে সেই লাইভের মন্তব্য বাক্সেই অনেকে প্রশ্ন তুলেন বারিশা মাইলস্টোনের ছাত্রী ছিলেন না কি না—এ নিয়ে। বাধ্য হয়ে তিনি প্রমাণপত্র হাজির করলেন।

 
সামাজিক মাধ্যমে একটি সনদপত্রের ছবি পোস্ট করেছেন বারিশা। তাতে উল্লেখ রয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির বারিশা মাইলস্টোন কলেজে ইংরেজি কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। স্বাক্ষরের সময় ২০০৩ সাল লেখা রয়েছে। 

বারিশা তার পোস্টে বলেন,  ‘কিছু অসভ্য বেয়াদব জানোয়ার সমতুল্য মানুষ আছেন যারা এই ভয়াবহ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কলুষিত করেছেন এবং জাহির করার চেষ্টা চালিয়েছেন আমি নাকি শুধুমাত্র ভিউয়ের জন্য মাইলস্টোন স্কুলের এক্স স্টুডেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছি নিজেকে।

 
আজকে বাধ্য হলাম এই ছবিটা আপলোড করতে, যদিও আমি কখনো কাউকে কৈফিয়ত দিতে চাই না। কিন্তু এবারের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের জানা কারণ আমাকে একটা গ্রুপ সবসময় চেষ্টা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমার শুভাকাঙ্ক্ষী বা দর্শকদের সামনে আমার ইমেজ নষ্ট করতে বা আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করলেই তারা নিজেদের ভালো জাহির করার সুযোগ পাবেন।

বারিশা বলেন, যাইহোক, এই সময়ে দোয়া করেন বেশি করে আর বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে শিখুন।

অন্যকে হেয়প্রতিপন্ন করে নিজেকে বড় করার বৃথা চেষ্টা আর কত করবেন?  নিজেরা ফেইক ইমেজ নিয়ে চলে তাই অন্যদেরকেও তা-ই মনে করেন। প্রফেশনালভাবে আমার সঙ্গে লড়াই করুন। প্রতিযোগিতা করুন। নোংরামি অনেক সহ্য করেছি। আর নয়।
 
সব কিছুর একটা সময় থাকে। সারা বছর সারা দিন-রাত আমাকে নিয়ে পরে থাকা একমাত্র কাজ , কিন্তু এই মর্মান্তিক সময় কেউ মিথ্যা কথা বলতে পারে আমার জানা নেই!’
  
বার্ন ইউনিটে খাবার সরবরাহ করবেন জানিয়ে বারিশা বলেন,  ‘ভালো থাকবেন সবাই, আমার মন এখনো খুব খারাপ। আমার প্রিয় স্কুল ও ছোট ভাই-বোনেরা ভালো নেই। এই ট্রমা থেকে বের হয়ে আসা খুব কষ্টকর। আমরা চেষ্টা করছি বার্ন ইউনিটে আমাদের রেস্টুরেন্ট থেকে মাইলস্টোনের স্টুডেন্ট ও শিক্ষকদের খাবার সরবরাহ করতে। দোয়া করবেন।’