
'বরবাদ' সিনেমার রক্তাক্ত ক্ষতের ব্যান্ডেজ খোলার প্রসঙ্গে জনপ্রিয় উপস্থাপক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ইনফ্লুয়েন্সার আব্দুন নূর তুষার বলেছেন, “সাধারণত, কোনো গভীর ক্ষত হলে ডাক্তাররা সেখানে সেলাই করে দেন, যাতে ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে যায়, দাগ কম পড়ে এবং ইনফেকশন না হয়। এটাকে বলে স্কিন এপোজিশন। সাধারণভাবে, ক্ষত শুকাতে সাত থেকে দশ দিন লাগে। আর ‘বরবাদ’ ছবিতে কয়েক মাস পর দগদগে, সেলাই ছাড়া রক্তাক্ত ক্ষতের ব্যান্ডেজ খুললেন শাকিব খান! নতুন করে মেডিকেল শাস্ত্র শিখলাম।
আজ বুধবার (২৫ জুন) নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সিনেমায় ব্যবহৃত অস্ত্র প্রসঙ্গে তুষার বলেন, “কিছু অস্ত্র দেখানো হয়েছে, যেগুলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত। একটি অস্ত্রের নাম গ্যাটলিং গান। এটি চাকার মতো ঘুরে গুলি ছোড়ে।
তিনি আরও বলেন, “যীশুর চরিত্রটা পুরোপুরি হাস্যকর। সে থানায় হামলা করে বিশাল একটা হাতি সাইজের অস্ত্র নিয়ে। ওই অস্ত্রের রিকয়েলে সে অন্তত ১০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ার কথা। সেই অস্ত্রের ম্যাগাজিনে বড়জোর ২০টা গুলি ধরবে।
‘হেলিকপ্টার রেডি কর’ সংলাপ নিয়ে তুষারের মন্তব্য, “এটা আরেকটা গাধামো। হেলিকপ্টার রেডি করে কীভাবে? পাহাড়ের ওপর কি এটা টারপলিন দিয়ে ঢেকে রাখা ছিল? হতে পারে, ছবি হিট হবে। কারণ ছবির নির্মাণশৈলী না, আসলে নায়ক-নায়িকার সৌন্দর্য। পূজা ও ইধিকা-দুজনই বেশ সুন্দর।
তুষার আরও বলেন, “সোজা কথা, বুদ্ধিমান মানুষের জন্য পুরো ছবিটাই সময়ের অপচয়। গল্প বলতে কিছু নেই। কিছু খুন, কিছু বিকৃতি, কিছু মানসিক রোগ আর কিছু টমেটো সস-আলতা দিয়ে বানানো রক্ত। ছবির নাম ‘কসাই আরিয়ান’ বা ‘পার্ভি সন্তান’ হলেও মানাত। এখানে প্রতিটা পুরুষ চরিত্র বিকৃতরুচির, নেশাগ্রস্ত, উজবুক। পুরো ছবিটাই অসুস্থতা।”
স্ট্যাটাসের শেষে তিনি লেখেন, “চরকিকে এই ইয়ার্কির জন্য আর কী বলবো? ‘বরবাদ’ দেখে জীবনের আড়াই ঘণ্টা বরবাদ করলাম। আর এই স্ট্যাটাস লিখে আরও কিছু সময় বরবাদ। এই দেশের লোকজন এখন খড়মের বদলে চপ্পল পেলেই খুশি। সিনেমা না, এটা একটা বিকৃতি।”