Image description
 

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কে। সেই প্রেক্ষাপটে ভারতের কিছু গণমাধ্যম বিশেষভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশকে ঘিরে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য ছড়াতে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘রিপাবলিক বাংলা’, যার একাধিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বিষয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিতর্কিত বক্তব্য উঠে এসেছে।

চ্যানেলটির প্রধান উপস্থাপক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সাম্প্রদায়িক উসকানি ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এবার নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন চ্যানেলের আরেক উপস্থাপিকা স্বর্ণালী সরকার।

‘সোজাসুজি স্বর্ণালী’ নামের একটি সেগমেন্টে উপস্থাপিকা দাবি করেন, বাংলাদেশের অনেক অভিনয়শিল্পী বর্তমানে ভারতে বসবাস ও কাজ করছেন এবং তার ভাষায়—‘তারা এখানে নাম, যশ আর অর্থ কামিয়ে নিয়ে নিজেদের দেশের প্রতি ন্যূনতম দায়বদ্ধতাও দেখাচ্ছেন না।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ভারতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে এ শিল্পীরা নীরব কেন?

কাশ্মীরে হামলার ঘটনা তুলে ধরেন তিনি বলেন, ভারতে এত বড় নারকীয় ঘটনার পরেও কোনো নিন্দা জানাচ্ছেন না ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পীরা! তারা শুধুমাত্র নিজেদের লাভ খুঁজছেন। কাজের বেলায় কাজি কাজ ফুরালে পাজি। তারা শুধু নিজেদের কার্য উদ্ধারের করার জন্য বসে আছেন। সেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে ‘ঘাড়ধাক্কা’ দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত।’

 

তিনি আরও দাবি করেন, এসব বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মেধাবী শিল্পীরা কাজ হারাচ্ছেন। বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা, দুর্গাপুরের অনেক প্রতিভাবান শিল্পীরা বেকার হয়ে পড়ছেন। তাই পাকিস্তানি শিল্পীদের মতো বাংলাদেশি শিল্পীদেরও বয়কট করার আহ্বান জানান তিনি।

ভিডিওটিতে সরাসরি বাংলাদেশি অভিয়শিল্পীদের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘জয়া আহসান, মিথিলা, বিদ্যা সিনহা মিম, অপু বিশ্বাস, এমনকি শাকিব খানও ভারতে কাজ করছেন, অথচ তারা ভারতের বিষয়ে কিছু বলেন না।’ একই সঙ্গে ওপার বাংলার শিল্পী স্বস্তিকা মুখার্জি, সোহিনী সরকার ও ইমন চক্রবর্তীর নীরবতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

উপস্থাপিকার মন্তব্যটি ইতোমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে এবং দুই বাংলায় শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই একে বিদ্বেষপ্রসূত ও শিল্প সংস্কৃতির পরিসরে অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করছেন।