Image description

পরিবার, সন্তান ও মা-বাবার কথা চিন্তা করে সড়কে চলাচল করার কথা বলে 'নিরাপদ সড়ক চাই' সংগঠনের চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, অন্যের জন্য নয়, নিজের জীবনের জন্য সড়কে চলাচলের নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরা কনভেনশন সেন্টার এন্ড লেক ভিউ রিসোর্টে নিরাপদ সড়ক চাই সাতক্ষীরা জেলা শাখার আয়োজনে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে করণীয় শীর্ষক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সাতক্ষীরার মানুষদের কাজ করতে হবে। শিক্ষিত মানুষ নিয়ম না মানলে তাহলে ড্রাইভার কিভাবে মানবে।

একজন ড্রাইভার অশিক্ষিত কিন্তু আপনি-আমি শিক্ষিত। তবে কেন আইন মানছি না। আপনি যদি ভালো না হন তাহলে কে আপনাকে রক্ষা করবে। 

নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গাড়িচালক ও পথচারীদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মালিকপক্ষকে চালকদের জন্য নিয়মিত কর্মশালা (প্রশিক্ষণের) ব্যবস্থা করতে হবে।

চালকদের নির্ঘুম রেখে বিরতিহীন গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়, যুদ্ধেও প্রতিদিন এত মানুষ মারা যায় না। 

তুফান গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. মো. আবুল কালাম বাবলার সভাপতিত্বে নিরাপদ সড়ক চাই সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহসভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ পাড় এবং সাতক্ষীরা সাংবাদিক ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান লিটুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই কেন্দ্রীয় কমিটি মহাসচিব এস এম আজাদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান লিটন এরশাদ, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. রহমতুল্লাহ পলাশ, সাবেক ফিফা রেফারি তৈবুব রহমান বাবু, সাতক্ষীরা জেলা (অতি.) পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান। 

আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাতক্ষীরা পৌর মেয়র মো. তাসকিন আহমেদ চিশতী, জেলা বিএনপির সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ফারুক, সিভিল সার্জন অফিসের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, নিরাপদ সড়ক চাই সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ মো. দিদারুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এস এম মহিদার রহমান, বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি সাতক্ষীরা জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ দ্বীন আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাতক্ষীরা জেলা শাখার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।