Image description

প্রশ্ন: বর্তমানে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অক্টোপাস, স্কুইড, কাঁকড়া পাওয়া যায়। তাছাড়া, সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেলে ওখানকার সামুদ্রিক খাবার হিসেবে কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক, অক্টোপাস, স্কুইড পাওয়া যায়। এসব খাবার খাওয়া সম্পর্কে ইসলামী নির্দেশনা কি?

উত্তর: মাছ ছাড়া অন্য কোন জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েজ নাই। অক্টোপাস, স্কুইড (Squid), কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক যেহেতু মাছ নয়, তাই এগুলো খাওয়াও জায়েজ নাই। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪ আল বাহরুর রায়েক ৮/৪৮৫ হাশিয়ায়ে তাহতাবী ৪/৩৬০ ইমদাদুল ফাতাওয়া ৪/১১৮)

কেননা– প্রথমত, এগুলো কুরআনে বর্ণিত ‘খাবায়েস’ (নোংরাবস্তু) এর অন্তর্ভুক্ত। সুরা আল আরাফ আল্লাহ তাআলা এগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ‘খাবায়েস’ বলা হয়, যা মানুষ স্বভাবগত ঘৃণা করে। (সুরা: আরাফ আয়াত ১৫৭)  

‘খাবায়েস’ বলা হয়, অর্থাৎ, যা মানুষ স্বভাবত ঘৃণা করে। (তাফসিরে কাবীর, আযওয়াউল বায়ান, আললুবাব, আলহাবী সংশ্লিষ্ট আয়াত)। আর মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণীকে মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। সুতরাং সেগুলোও নিষিদ্ধ।

দ্বিতীয়ত, এ ধরণের জলজ প্রাণী রাসূলুল্লাহ সা. ও সাহাবায়ে কেরাম খেয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। 

অধিকন্তু হাদিসে এসেছে,َ আব্দুর রহমান বিন উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) জনৈক চিকিৎসককে ব্যাঙ মেরে ওষুধ বানাতে নিষেধ করেছিলেন। (আবু দাউদ ৩৮৭১)। অথচ ব্যাঙ জলজ প্রাণী!

তৃতীয়ত, আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের জন্য দু’ প্রকারের মৃত জীব ও দু’ ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দু’টি হলো মাছ ও টিড্ডি এবং দু’ প্রকারের রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা। 

(ইবনে মাজাহ ৩৩১৫, আহমাদ ৫৬৯০, দারাকুতনী ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ ২৮০৩)