সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রেমের পর বাংলাদেশে ছুটে আসা যুবক-যুবতীর ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছরে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘটেছে এমন ঘটনা। চুয়াডাঙ্গাও এর ব্যতিক্রম নয়। এবার চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মেয়ে ফারিয়া সুলতানার ওরফে সোনিয়ার প্রেমের টানে ছুটে এসেছেন চীনা যুবক সাউই চুই। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে করেছেন বিয়ে।
জানা যায়, ঈদুল আজহার পরদিন ঢাকায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। গত সোমবার শ্বশুরবাড়ি গয়েশপুর আসেন সাউই চুই। বিয়ের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে চুইকে দেখতে সোনিয়াদের বাড়িতে ভিড় জমান এলাকাবাসী। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় ফিরে যান স্বামী-স্ত্রী।
ফারিয়া সুলতানা জানান, ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে কয়েক বছর ধরে সেখানেই থাকি। এক পর্যায়ে ফেসবুকের মাধ্যমে চীনা নাগরিক সাউই চুইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের পর শুরু হয় প্রেম। পরে চীন থেকে ঢাকায় এসে আমার সঙ্গে দেখা করে চুই। গত ঈদের পরদিন পরিবারের সম্মতিতেই আমরা বিয়ে করি। চুইয়ের এক বোন ঢাকায় গার্মেন্টসের ব্যবসা করেন। তার উপস্থিতিতেই বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন চুই। তার নাম এখন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
ফারিয়া বলেন, চুই অনেক ভালো মনের মানুষ। তিনি সবকিছু মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন। চীনা ভাষা শিখতে আমার আরও সময় লাগবে। তিনি অল্প কিছু বাংলা বুঝতে পারেন। তাছাড়া আমরা গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করে কথা বলি। খুব দ্রুত চীনা ভাষা শিখে যাব। কিছুদিনের মধ্যে সব প্রক্রিয়া শেষ করে আমাকে চীনে নিয়ে যাবেন চুই।
ফারিয়ার বাবা সানোয়ার হোসেন বলেন, ফেসবুকে পরিচয়ের পর চুই আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চাইলে আমরা তাকে দেশে আসতে বলি। সব নিয়মনীতি মেনে তাদের বিয়ে দিয়েছি। যদিও তারা প্রথমে ঢাকায় বিয়ে করে। পরে গ্রামে আসার পর আমরা অনুষ্ঠান করেছি।
সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন বলেন, চীন থেকে এসে এক যুবক গয়েশপুর গ্রামের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। ওই যুবককে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে মানুষ। পরে বিরক্ত হয়ে তারা ঢাকায় চলে গেছেন।