Image description

সীমান্তের বহু জায়গাতেই সীমান্ত পিলার হয় নদীর পলির নিচে কিংবা বালির নিচে চাপা পড়ে গেছে। সেগুলো চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ভারত। এজন্য কলকাতা থেকে সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সাত জনের এক প্রতিনিধি দল সোমবার কোচবিহারের কুচলিবাড়ি থানার অন্তর্গত সিংপাড়া ও চাঁদনি সীমান্ত চৌকিতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন বিএসএফ আধিকারিকরাও। বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেই কাজ হওয়ার কথা ছিল। আগে থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বাংলাদেশের আধিকারিকদের। কিন্তু বাংলাদেশের দিক থেকে সাড়া না পাওয়ায় সেই কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।

সীমান্ত পিলারের অবস্থান নিয়ে কোনও আলোচনা না করেই ফিরে এসেছেন সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা। বিষয়টি ইতিমধ্যে শীর্ষ আধিকারিকদের জানিয়েছে বিএসএফ ও সার্ভে অব ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা।

জানা গেছে, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জে তিন বিঘা করিডর লাগোয়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তিস্তা নদী। সেখানে দীর্ঘদিন আগে পিলার নির্মাণ করে সীমান্ত চিহ্নিত করেছিল ভারত। তবে নদীর গতিপথ বদলের কারণে সীমান্তও বদলাতে থাকে। বহু জায়গায় নদীর পলি ও বালির নিচে চাপা পড়ে গেছে সীমান্ত পিলার। সেখানে দুদেশের সীমান্ত স্পষ্টভাবে চিহ্নিত করতে ফের সীমান্ত পিলার চিহ্নিত করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা আসেন নি।

বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি বাংলাদেশের দিক থেকে অসহযোগিতা হিসাবে দেখা হচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সীমান্তের এই অরক্ষিত এই অংশ দিয়ে অনুপ্রবেশ ও পাচার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। গত কিছুদিন ধরেই সীমান্তে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় বিএসএফকে কাঁটাতারের বেড়া দিতে বাধা দিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। সীমান্তের দুপাশের গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে।