Image description
 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে ঢাকার নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরেন পুলিশ কর্মকর্তা মো. আরশাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে ঢাকার নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরা সেই পুলিশ কর্মকর্তা মো. আরশাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তৎকালিন সময় তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এক আদেশে সে সময় ডিএমপি জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে ঢাকার নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদুল ইসলামের মুখ চেপে ধরেন পরিদর্শক আরশাদ হোসেন। তার এমন অপেশাদার কর্মকাণ্ডের ফলে পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে জনগণের বিরূপ ধারণা সৃষ্টিসহ পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরা ছাড়াও আরশাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানায় ডিএমপি।

 

সংসদের কিছু চেয়ার বা আসন দিয়ে ছাত্রদের কেনা যাবে না বলে দাবি করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। আজ সোমবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ সড়কের পৌর মুক্তমঞ্চ মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ‘রাইজিং চুয়াডাঙ্গা’ শীর্ষক ছাত্র-জনতার মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার গণঅভ্যুত্থানের সময় আমাদের কিনতে পারেনি। এখন যারা ভাবছেন সংসদের কিছু চেয়ার দিয়ে ছাত্রদের কিনে ক্ষমতা দখল করবেন, তারা ভুল ভাবছেন। ক্ষমতার দিকে যারা যেতে চাচ্ছেন, তাদের বলি- আপনারা ক্ষমতার দিকে না গিয়ে জনতার দিকে আসুন। আমরাও আপনাদের পাশে থাকব।’

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চান, তারা ভুল করছেন। আওয়ামী লীগ তাদেরই হত্যা করেছে যারা তাদের পুনর্বাসন করেছে। গর্দান ও তলোয়ার কখনো একসঙ্গে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে, এটি দেশকে আরও বিভক্ত করবে।’তিনি বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চান, তারা দেশের স্বার্থের সঙ্গে বেঈমানি করছেন। আওয়ামী লীগ ১৬ বছর ধরে যে অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে, তার বিচারের দাবি ওঠাতে হবে। যদি বিচারের জন্য আওয়াজ তোলা হয়, আমরা আবার রাস্তায় নামব। যারা ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাদের পক্ষে দাঁড়ানো মানে মজলুমের বিপক্ষে দাঁড়ানো।’

ছাত্রসমাজের উদ্দেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দেশের ছাত্রসমাজ যদি এক হয়ে কাজ করে, কোনো শক্তিই তাদের হারাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের অত্যাচারের শিকার যারা, তাদের কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। ছাত্র-জনতা যারা রাস্তায় প্রাণ দিয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ আমাদের ভবিষ্যত গড়তে সহায়তা করবে।’বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং জেলা কমিটির সদস্যসচিব সাফফাতুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নুসরাত তাবাসসুম, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোল্লা এহসান প্রমুখ।