Image description

নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইউরোপের জন্য ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ।

 

নবনিযুক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইউরোপের জন্য ‘বড় চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ। সামনের দিনগুলোয় এ চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে উল্লেখ করে তা মোকাবেলায় ইউরোপকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। খবর রয়টার্স।

 

প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে গতকাল ফ্রান্স ও জার্মানির দুই সরকারপ্রধানের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তারা স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এ সময় ওলাফ শুলজ বলেন, ‘একটি বিষয় অত্যন্ত পরিষ্কার যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবেন। আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। ইউরোপ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) একটি অত্যন্ত বড় অর্থনৈতিক এলাকা। এর নাগরিকের সংখ্যা প্রায় ৪৫ কোটি। আমরা শক্তিশালী। আমরা একসঙ্গে আছি। ইউরোপ অলস বসে থাকবে না। পালাবেও না।’

 

অন্যদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ইউরোপের স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রশাসন দায়িত্ব নিয়েছে। ইউরোপের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজনীয়তা এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ঐক্যবদ্ধ, শক্তিশালী ও সার্বভৌম একটি ইউরোপের বিনির্মাণে আমাদের দুই দেশ (ফ্রান্স ও জার্মানি) নিজ নিজ ভূমিকা পালন করে যাবে।’

 

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তা ইইউর বাণিজ্য খাতে বড় ধরনের আঘাত হয়ে দেখা দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও এ হুমকি মোকাবেলায় ইইউ আঞ্চলিক জোটের সদস্যগুলো এখনো ঐকমত্যে পৌঁছতে পারছে না। শুধু ইউরোপ নয়, হোয়াইট হাউজে প্রবেশের আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকেও পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সর্বশেষ গত মঙ্গলবারও তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে ইউরোপের উদ্বৃত্তের মাত্রা “‍বিরক্তিকর রকমের বেশি” এবং অঞ্চলটিকে তার ট্যারিফ পরিকল্পনার আওতায় আনা হবে।’

 

এর জবাবে প্যারিসে অনুষ্ঠিত গতকালের মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকের আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ও জার্মান চ্যান্সেলর জোর দিয়ে বলেন, ‘এ হুমকি মোকাবেলার সামর্থ্য ইউরোপের আছে এবং বিপত্তির আশঙ্কা থাকলেও এ বিষয়ে ফরাসি-জার্মান ঐক্য দৃঢ় থাকবে।

 

তারা জানান, ট্রাম্পের ট্যারিফ পরিকল্পনার আওতায় ইউরোপের ইস্পাত, মোটরগাড়ি ও রাসায়নিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জোর আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে খাতগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।