
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া যুদ্ধ গতকাল তৃতীয় দিনে গড়িয়েছে। যুদ্ধে দুই দেশের সেনা ও বেসামরিক মানুষের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে সীমান্ত। গতকাল পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৩৩ জন, আহত হয়েছে ১৩০ জনের বেশি। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় জারি করা হয়েছে সামরিক আইন, গড়ে তোলা হয়েছে শত শত আশ্রয় কেন্দ্র। রয়টার্স বিবিসি এএফপি
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ বোমারু বিমান, গোলাবারুদ, যুদ্ধজাহাজ এবং ট্যাংক নিয়ে সংঘাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কম্বোডিয়ার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ পর্যন্ত তাদের পক্ষে হতাহতের সংখ্যা আট সেনাসদস্য ও আট বেসামরিক নাগরিক। আহত হয়েছে অন্তত ৭০ জন। দেশটির বিহার অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ২০ হাজারের বেশি মানুষকে। কম্বোডিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘খামের টাইমস’ জানিয়েছে, থাই সেনাদের হামলায় বহু ঘরবাড়ি ও নাগরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। অন্যদিকে থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, সংঘর্ষে তাদের ছয় সেনাসদস্য এবং ১৩ বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ৫৯। সীমান্তবর্তী আট জেলায় সামরিক আইন বলবৎ রয়েছে এবং ৩০০টির বেশি আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষকে। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ডেকেছে জরুরি বৈঠক। সেখানে কম্বোডিয়ার দূত অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি করলেও থাইল্যান্ড জানিয়েছে, কম্বোডিয়া যদি কূটনৈতিকভাবে বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলোচনায় আগ্রহ দেখায়, তবে থাইল্যান্ডও প্রস্তুত। তবে দুই পক্ষ কেউই ছাড় দিতে নারাজ।