
রাজধানীর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে গত বুধবার নৃশংসভাবে খুন হন ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগ। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর মেরে অত্যন্ত বর্বর কায়দায় হত্যা করে। এই পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড সারা দেশের বিবেককে প্রচণ্ডভাবে নাড়া দিয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা সভা-সমাবেশ, মশাল মিছিল, বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসব মিছিল থেকে চাঁদাবাজি, খুন ও সন্ত্রাস বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
আমাদের রিপোর্টার আল-আমিন ঘটনাটির সরেজমিন অনুসন্ধান করেছেন। তার রিপোর্টে এসেছে দুর্বৃত্তরা কীভাবে সোহাগকে পিটিয়ে ও পাথর মেরে হত্যা করেছে তার বিবরণ। ঘটনাটি ঘটে বুধবার এবং এ ঘটনায় মামলা হয় বৃহস্পতিবার, তবে খুনটি কত বীভৎসতায় সংঘটিত হয়েছে, তা সামনে আসে শুক্রবার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হওয়ার মধ্য দিয়ে। নৃশংস খুনটির পেছনে পাঁচটি কারণ উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য বিস্তার, টাকা লেনদেনে বিরোধ, পণ্য কেনা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও দোকানের দখল। খুনের শিকার সোহাগ একজন যুবদলকর্মী এবং যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, তাদেরও রাজনৈতিক পরিচয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল কিংবা ছাত্রদলের কর্মী-সমর্থক। হত্যার শিকার সোহাগ যে দোকানটির মালিক, এটির আগের মালিক ছিলেন যুবদলকর্মী মনির। ২০০৪ সালে মনির হত্যার শিকার হন। সেই হত্যা মামলার আসামির তালিকায় সোহাগের নাম রয়েছে।
ভাঙাড়ি ব্যবসা এবং তামার তার ব্যবসার একটি শক্ত সিন্ডিকেট আছে সেখানে। নিহত সোহাগ এবং হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাই এই সিন্ডিকেটের সদস্য। গত জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোহাগ ও মাহিন গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। মাহিন গ্রুপ সোহাগকে দোকানটি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র ব্যবসা করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সোহাগ এটা মেনে নিতে পারছিলেন না। এরই জের ধরে খুন হন সোহাগ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তেও বলা হয়েছে, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন সোহাগ।
ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিরোধ হতেই পারে। তার জন্য এমন নৃশংস বর্বরতায় খুন করতে হবে? এ ঘটনার ধিক্কার জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। মানুষ এত নিষ্ঠুর, এত বর্বর কী করে হয়? এই পাষণ্ডরা সোহাগকে পিটিয়ে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাকে বিবস্ত্র করেছে এবং শরীর ও মাথায় পাথর দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে থেঁতলে দিয়েছে। এরপর লাশের ওপর নৃত্য করেছে। কোনো কোনো পত্রিকায় এসেছে—এক খুনি সোহাগের রক্তও গায়ে মেখেছে। বন্ধু শোয়েব যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভাইরাল ভিডিও দেখে প্রচণ্ড মর্মাহত হয়ে তার বেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে লিখেছে—‘এ ঘটনা পশুর সঙ্গে তুলনা করলে নিরীহ পশুর প্রতিও অন্যায় করা হবে অর্থাৎ ঘটনাটি এতই জঘন্য। আসলেই এ ঘটনা আইয়ামে জাহেলিয়াতের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয়।’
সোহাগ হত্যার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমানে দেশ পরিচালনা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র্যাব, বিজিবির পাশাপাশি এখন মাঠে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহলে রয়েছেন। এ অবস্থায় এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা কেন এবং কীভাবে ঘটছে? ঘটনাটি প্রকাশ্যে ঘটেছে। পুলিশ এতে হস্তক্ষেপ করেনি কেন? সাধারণ মানুষের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, পুলিশ নিয়মমাফিক রুটিন কার্যক্রমের বাইরে এখন কিছুই করছে না। এ ঘটনায় সরকারও দায় এড়াতে পারে না। সরকার কঠোর হচ্ছে না কেন? অপরাধীদের শায়েস্তা করতে বাধা কোথায়? আইজিপি বলেছেন, পুলিশের মনোবল এখনো ফিরে আসেনি। এ বক্তব্য দিয়েই দায় এড়ানো যাবে না। পুলিশকে কার্যকর ব্যবস্থা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।
অপরাধীর পরিচয় একটিই, সে অপরাধী। সে কোন দল করে কিংবা সে কোন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সেটা বিবেচনার বিষয় নয়। সে অপরাধ করেছে, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে, বিচার করতে হবে।
বিগত শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে বাংলাদেশ অপরাধের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছিল। অপরাধী চক্রের সঙ্গে পুলিশ-র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও জড়িত হয়ে পড়েছিল। সুশাসন নির্বাসনে চলে গিয়েছিল। বিচার বলতে কোনো জিনিস দেশে ছিল না। এর বিরুদ্ধেই ছাত্র গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। সামাজিক প্রতিরোধ হয়েছে। এ অবস্থার পুনরাবৃত্তি আবার কেন হবে? এটা হতে দেওয়া যায় না। এটা হতে পারে না।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সোহাগ হত্যার ঘটনায় সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সোহাগ হত্যার ঘটনার বিচার হবে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে। এ বক্তব্যই যেন যথেষ্ট না হয়। আশা করব দেশে সুশাসন ফিরে আসবে। সরকার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকারকে ‘অ্যাক্ট’ করতে হবে, ‘পারফর্ম’ করতে হবে। গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে হবে। কুচক্রীরা এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটানোর জন্য ওত পেতে বসে আছে। এদের এই সুযোগ দেওয়া যাবে না।
সোহাগ হত্যার ঘটনায় বিএনপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ নিহত সোহাগ এবং খুনি চক্র সবাই বিএনপির অঙ্গ দলের কর্মী-সমর্থক। ক্ষোভ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেই বেশি অভিযোগ আসছে। বড় দল হিসেবে বিএনপিরও দায়িত্ব আছে। অপরাধীরা সবাই চাইবে বিএনপি এবং তার অঙ্গ দলগুলোকে ব্যবহার করে কাজ হাসিল করতে। সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে তারা প্রভাবশালী দল বা সরকারের ছত্রছায়ায় আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে। তাই বড় দল হিসেবে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তৃণমূল পর্যন্ত সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, এরা যেন তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় না পায়। এ জন্য দলের মধ্যে বড় ধরনের শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। প্রতিটি কমিটি থেকে অপরাধীদের বের করে দিতে হবে। যাদের নামে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটের অভিযোগ আছে, তাদের দূরে রাখতে হবে। চাঁদাবাজি, দখলবাজির যেসব খবর পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে, তার সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ দলগুলোর একশ্রেণির নেতাকর্মীর নাম আসছে। এটা কেন হবে? এসব অপরাধীকে দল থেকে বের করে দিতে হবে।
মিটফোর্ডের ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে পাঁচজনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপি এ পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযোগে দলের প্রায় সাত হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপির সঙ্গে থাকতে হলে চাঁদাবাজি, দখল ও সন্ত্রাসবাদী চলবে না। এ ব্যাপারে দলের অবস্থান জিরো টলারেন্স। একই হুঁশিয়ারি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদও দিয়েছেন। আমরা এর বাস্তবচিত্র দেখতে চাই। এই হুঁশিয়ারি যেন কথার কথা না হয়। বিএনপিকে তাদের বক্তব্যের প্রতিফলন দেখতে চাই। বিএনপিকে ‘মিন’ করতে হবে তারা যা বলছেন, সেটা করছেন। সোহাগ হত্যার ঘটনায় বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সম্পৃক্ততায় দল দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এবং চাপে পড়েছে। এ ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে বিএনপির ১৫ বছরের ত্যাগ ধুলায় মিশে যাবে।
বিএনপিকে উপলব্ধি করতে হবে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের জঙ্গলি শাসনামলে তাদেরকেই বেশি অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমাতে পারেননি। প্রায় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। এমনও তাদের দিন গেছে, রাতে ধানক্ষেতে বিছানা পেতে ঘুমাতে হয়েছে। ন্যূনতম ৭ থেকে ৪৫০টি পর্যন্ত মামলা একেকজন নেতার বিরুদ্ধে। খালেদা জিয়ার মতো একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় দেশপ্রেমিক নেত্রীকে ছয় বছরের মতো জেলে কাটাতে হয়েছে। তার জীবননাশের জন্য জেলে ‘স্লো পয়জনিং’-এর শিকার হতে হয়েছে। তারেক রহমানকে নিষ্ঠুর নির্বাসিত জীবনে থাকতে হয়েছে। এখনো তার জীবনের ওপর চরম হুমকি রয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ১৩ বার জেলে নেওয়া হয়েছে। হত্যা, গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন অজস্র নেতাকর্মী।
সামনে নির্বাচন আসছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরবে দেশ। সেটা যেন সুন্দরভাবে হতে পারে নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য বিএনপির দায়িত্ব বেশি। বিএনপি বড় দল। বিএনপির দোষত্রুটি সবার চোখে পড়বে। এটাই স্বাভাবিক। তাই বিএনপিকে ভুল করা চলবে না। কেউ সমালোচনা করলে সেই সমালোচনা ইতিবাচকভাবে নিতে হবে। ভুল থাকলে, ত্রুটি থাকলে শুধরে নিতে হবে। ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া দোষের কিছু নয়। এ জন্য জনগণের কাছে, মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক দলের বৈশিষ্ট্যই এটা। কারণ জনগণের জন্য এবং জনগণের সঙ্গেই তো তাদের কাজ।
আরেকটি বিষয় সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করতে গিয়ে এমন অবস্থা যেন না হয়, যার ফলে পরাজিত শক্তি সেটা কাজে লাগাতে পারে।
মিটফোর্ডের ঘটনায় সারা দেশে প্রতিবাদ হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। প্রতিবাদ না হলে অপরাধীদের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হবে না। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে এমন হয়েছে, তারা যেন সুনির্দিষ্ট কোনো দল বা নেতাকে টার্গেট করে পরাজিত শক্তির সঙ্গে তাকে মিশিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন। দু-একটি মিছিল থেকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত পরিকল্পিত ও কুৎসিত স্লোগান দেওয়া হয়েছে, যা ছিল উদ্দেশ্যমূলক। এটা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবে।
আমাদের স্মরণে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার বিচার শুরু হয়েছে। গণহত্যা চালানো, লাশ পোড়ানোসহ নানা অপকর্মের প্রমাণ একের পর এক উদ্ঘাটন হচ্ছে। পুলিশের সাবেক আইজি মামুন রাজসাক্ষী হয়ে কোর্টে সত্য ঘটনা তুলে ধরছেন, প্রমাণ হাজির করছেন। এ বিচার বানচালের জন্য নেপথ্যে একটি শক্তিশালী অপশক্তি কাজ করছে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ ও তাদের রাজনৈতিক মুরব্বি ভারত ওত পেতে বসে আছে। শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত তার অপকর্মের জন্য জনগণের কাছে অনুশোচনা প্রকাশ কিংবা ক্ষমা চাননি। তার দলেরও কেউ ক্ষমা চাননি। বরং তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য, নির্বাচন যাতে না হয় এবং একটি অন্য ধরনের সরকার যাতে ক্ষমতায় আসে, সেই চেষ্টায় আছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে মরিয়া হয়ে আছে। জুলাই বিপ্লবের অংশীজন সবাইকে এটা উপলব্ধি করতে হবে। এদের কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। গত ১৫ বছরে কী অপকর্ম তারা করেছে, জাতিসংঘ রিপোর্টেই তার প্রমাণ। তারা গণহত্যা চালিয়ে ১৪০০ ছাত্র-জনতাকে নৃশংসভাবে খুন করেছে। দেশকে তারা পঙ্গু করে দিয়ে গেছে।
তাই চাঁদাবাজ, দখলবাজ, সন্ত্রাসীদের লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি জুলাই বিপ্লবের সব অংশীজনকে ঐক্যবদ্ধও থাকতে হবে। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের বিভেদ যেন না হয়। বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য সুযোগ-সন্ধানীরা সক্রিয়। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন নিয়ে প্রতিযোগিতা হবে, রাজনৈতিক বিরোধ হবে। ওই পর্যন্তই যেন থাকে। এটা যেন জুলাই ঐক্যে ফাটল না ধরায়। শেখ হাসিনার পরাজিত শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্য যেন অটুট থাকে।
লেখক : নির্বাহী সম্পাদক, আমার দেশ