Image description

ফের নিম্নমুখী শেয়ারদর। এতে মূল্য সূচক ও সার্বিক শেয়ার কেনাবেচার পরিমাণও কমেছে। আজ রোববার সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৩৬০ কোম্পানির মধ্যে ৩৪৮টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫টি দর হারিয়েছে।

বিপরীতে দর বেড়েছে ১০০ কোম্পানির শেয়ারের এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৫৩ কোম্পানির শেয়ার দর। এ নিয়ে সবশেষ তিন কর্মদিবসে টানা সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর হারাল। আর সর্বশেষ নয় কর্মদিবসের মধ্যে সাত কর্মদিবস শেয়ারদর কমেছে।

আজ দর পতনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ১৪ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৮৭২ পয়েন্টে নেমেছে। সবশেষ তিন কর্মদিবসে সাকুল্যে ৭৮ পয়েন্ট এবং নয় কর্মদিবসে ১৫২ পয়েন্ট হারিয়েছে। 

শেয়ারদরের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেয়ার কেনাবেচাও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গত ১৬ নভেম্বর বা ১৫ কর্মদিবস পর ফের ঢাকার শেয়ারবাজারের লেনদেন দুইশত কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। রোববার ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে, ২৬৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকার শেয়ার। এ লেনদেন গত ১৫ জুন বা প্রায় ছয় মাসের সর্বনিম্ন।

ওই দিন এ বাজারে ২৬৩ কোটি টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। এর পর গত ৭ সেপ্টেম্বর এ বাজারেই ১ হাজার ৪৪১ কোটি টাকার বেশি মূল্যের শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল। 

এমন দর পতনের কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তারা জানান, নিশ্চিত করে এর কারণ কেউ বলতে পারছেন না। 

অন্যতম প্রধান ব্রোকারেজ হাউস লংকাবাংলা ও সিটি ব্রোকারেজের কর্মকর্তারা জানান, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার আগ্রহ বেশ কম। অনেকে নতুন করে বিনিয়োগ থেকে বিরত থাকায় শেয়ার চাহিদা ব্যাপক হারে কমেছে। ফলে দর পতন হচ্ছে।

এদিকে আজ ডিএসইর লেনদেন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বস্ত্র, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সিমেন্ট খাতে মিশ্রধারা ছিল। এর বাইরে প্রায় সব খাতের অধিকাংশ শেয়ার দর হারিয়েছে। তুলনামূলক বেশি দর হারিয়েছে- বীমা, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, প্রকৌশল, তথ্য-প্রযুক্তি, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কাগজ ও ছাপাখানা খাতের শেয়ার। এ অবস্থার মধ্যেও যেসব কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই রুগ্‌ন বা বন্ধ।

ডিএসইতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরবৃদ্ধি পাওয়া ১৮ কোম্পানির মধ্যে ১৩টিই ‘জেড’ বা ‘জাঙ্ক’ ক্যাটাগরিভুক্ত শেয়ার। অবশ্য এগুলোর লেনদেনের পরিমাণও ছিল সামান্য।