Image description

পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা ফরিদপুরে ১২ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি বেড়েছে প্রায় ৪০০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, পূজার পর বাজারে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়া এবং একাধারে বৃষ্টির কারণে এমনটি হয়েছে।

এদিকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দর বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েছে।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তর জেলা ফরিদপুর। মৌসুমে এ জেলায় পেঁয়াজ আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদন হয় ৬ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন। যদিও মৌসুমে পেঁয়াজ তোলার সময় চাষি পর্যায়ে পেঁয়াজ মণপ্রতি এক হাজার ২শ থেকে ১ হাজার ৫শ টাকা দর পেয়েছিল কৃষক। সার, কীটনাশকসহ সব জিনিষপত্রের দাম বৃদ্ধিতে পেঁয়াজ উৎপাদনের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তারা লোকসানের মুখে পড়েছিলেন। গত ১২ দিনের ব্যবধানে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকেরা বেশ খুশি। বর্তমানে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পেঁয়াজ ২ হাজার ২শ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন।

 

স্থানীয়রা জানান, দুর্গাপূজার পরে কয়েক দিনের ব্যবধানে দুই হাজার টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে ২ হাজার ২শ থেকে ২ হাজার ৫শ টাকা প্রতি মণ। যা বাজারে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি।

 

পেঁয়াজের এ দর বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ করে কমে যাওয়া ও অতিবৃষ্টির কারণে চাষিরা হাটে পেঁয়াজ কম আনছেন।

 

ফরিদপুরের কানাইপুরে বাজারে পেঁয়াজ বেচতে আসা সালথার আটঘর ইউনিয়নের মিজান শেখ বলেন, ১৫ মণ পেঁয়াজ নিয়ে বাজারে এসেছিলাম। প্রতি মণ পেঁয়াজ ২ হাজার ৫শ টাকা দরে বিক্রি করতে পেরে আমি খুশি।

 

সালথার আলামিন মোল্লা বলেন, বাজারে খুব ভোর থেকে চাষিরা তাদের ঘরে থাকা পেঁয়াজ বস্তায় ভরে ভ্যানযোগে কেউবা নছিমন করে নিয়ে এসেছেন। হাটে পেঁয়াজের দাম বেশ ভালো। তবে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে অনেকে হাটে পেঁয়াজ আনতে পারছেন না।

 

হাটের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, কানাইপুরসহ আশপাশের হাটে আসা ভালো মানের পেঁয়াজের চাহিদা দেশজুড়েই। আমরা বিশেষ করে চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ সরবরাহ করি।

 

এ বিষয়ে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহাদুজ্জামান জানান, চলতি বছর ফরিদপুরে ৬ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম থাকলেও বর্তমানে তারা ভালো দাম পাচ্ছে।