Image description

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত দেশভিত্তিক রপ্তানিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। বিশেষ করে অপ্রথাগত বাজারে অবস্থান ক্রমেই শক্ত হচ্ছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত জুলাই-আগস্ট ২০২৫-২৬ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী, অপ্রথাগত বাজারে পোশাক রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যা মোট রপ্তানির ১৬.১১ শতাংশ এবং প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৪৪ শতাংশ।

জাপানে রপ্তানি বেড়েছে ১৫.৬১ শতাংশ, ভারতে ১৮.৬৭ শতাংশ। তবে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানি কমেছে ৬.৪৩ শতাংশ, যা খাতটির জন্য একটি উদ্বেগজনক সংকেত।

অন্যদিকে প্রথাগত বাজারগুলোতেও ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রয়েছে। মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৭.১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৬৩ শতাংশ বেশি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এককভাবে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে ৩.৪১ বিলিয়ন ডলার আয়ে, যা মোট রপ্তানির ৪৭.৮২ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে ১.৪৫ বিলিয়ন ডলার (২০.৩০ শতাংশ), যুক্তরাজ্যে ৮৮২.৬২ মিলিয়ন ডলার (১২.৩৮ শতাংশ) এবং কানাডায় ২৪১.৮০ মিলিয়ন ডলার (৩.৩৯ শতাংশ)।

দেশভিত্তিক প্রবৃদ্ধিতে যুক্তরাজ্য সবার শীর্ষে রয়েছে ১৫.৫১ শতাংশ নিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.৩৩ শতাংশ এবং কানাডায় ১৩.৬৯ শতাংশ। তবে জার্মানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.৫৩ শতাংশ, সুইডেনে ৬.৭১ শতাংশ এবং ডেনমার্কে ৮.৬৩ শতাংশ। অন্যদিকে ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড ও স্পেনে প্রবৃদ্ধি দুই অঙ্কে পৌঁছেছে।

সার্বিকভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। বিশেষ করে অপ্রথাগত বাজারে অগ্রগতি ভবিষ্যতের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলছে।

এ প্রসঙ্গে নোমান গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তা সিফাত হোসেন ফাহিম আমার দেশকে বলেন, “বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রথাগত বাজারের পাশাপাশি অপ্রথাগত বাজারেও দিন দিন শক্ত অবস্থান তৈরি করছে। এক সময় ধারণা করা হয়েছিল, আমেরিকা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে, কিন্তু সেই পরিস্থিতি এখন আর নেই। সামনের মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র যেমন আমাদের প্রধান শক্ত অবস্থান ধরে রাখবে, তেমনি অপ্রথাগত বাজারগুলোতেও রপ্তানি বাড়তে থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “এই ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের নীতিগত সহায়তা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে জ্বালানি খাতের চলমান সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।”