
এক মাসের ব্যবধানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে এখন দেশি পেঁয়াজ ধরনভেদে ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাড়া–মহল্লার দোকানে অবশ্য ৮৫ টাকার নিচে কোনো পেঁয়াজ নেই।
দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি পেঁয়াজের বাজার রাজধানীর শ্যামবাজার ঘুরে দেখা গেছে সোমবার (১১ আগস্ট) প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা করে বিক্রি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দাম বেড়ে ৭০ টাকায় ঠেকেছে।
ক্রেতারা বলছেন, একলাফে ২০–২৫ টাকা মূল্যবৃদ্ধি স্বাভাবিক ঘটনা নয়। আর বিক্রেতারা জানান, উৎপাদনস্থলেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। কারণ, কৃষকদের নিজেদের কাছে থাকা অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে। এখন মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা প্রয়োজন। কিন্তু আমদানির অনুমতি না থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। কৃষকেরা লোকসানে পড়তে পারেন ভেবে সরকারও পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে না।
বাজারে এখন মূলত দেশি পেঁয়াজই বিক্রি হয়। এক সপ্তাহ আগেও খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ কেনা যেত ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। এরপরই হঠাৎ পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। গতকাল রোববার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ধরনভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, সর্বশেষ মৌসুম অর্থাৎ ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এর আগের বছর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল ৩৯ লাখ ১১ হাজার টন অর্থাৎ গত বছর প্রায় ৫ লাখ ৩৭ হাজার টন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। তারপরও বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এর কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছে না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
এর সঙ্গে কোনো সিন্ডিকেট কাজ করছে কিনা বা ব্যবসায়ীদের কোনো কারসাজি আছে কিনা এর কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারছে না কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এবং বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের যে সংস্থাগুলো কাজ করছে তাদের কাছেও কোনো তথ্য নেই।