
ইউক্রেন অনিবার্যভাবে অঞ্চল হারাবে এবং ভলোদিমির জেলেনস্কিকে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিন কর্পসের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং জাতিসংঘের বিশেষ কমিশন (ইউএনএসসিওএম)-এর সাবেক অস্ত্র পরিদর্শক স্কট রিটার। খবর তাস’র।
তিনি বলেন, ‘এটা অনিবার্য যে রাশিয়ার ভূখণ্ড রাশিয়ার হবে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়া যে সব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে - খেরসন, জাপোরোঝিয়ে, দোনেৎস্ক এবং লুগানস্ক - সেগুলো সাংবিধানিকভাবে রাশিয়ার অংশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ফলাফল পরিবর্তনের জন্য জেলেনস্কির কিছুই করার নেই।’
স্কট রিটার বলেন, ‘সুতরাং, ইউক্রেনের একজন ভালো নেতা এই বাস্তবতা স্বীকার করবেন এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন। জেলেনস্কি ইউক্রেনের ভালো নেতা নন।’
এর আগে সোমবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেন ও রাশিয়াকে একে অপরের কাছে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়েই মূলত আলোচনা হবে। বৈঠকের লক্ষ্য হবে একটি সম্ভাব্য চুক্তির দিকে অগ্রসর হওয়া।
ট্রাম্পের ভাষায়, ‘আমি পুতিনকে বলব—এই যুদ্ধ শেষ করতেই হবে। আপনাকে এটি করতেই হবে।’ তিনি দাবি করেন, মাত্র দুই মিনিটের আলোচনাতেই বুঝে ফেলতে পারবেন পুতিন কোনো চুক্তিতে আগ্রহী কিনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও জানান, ভবিষ্যতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে। পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গেও কথা বলবেন, যার উদ্দেশ্য রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ দ্রুত থামানো।
ট্রাম্প এর আগেও যুদ্ধবিরতির জন্য ভূখণ্ড বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়েই প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর আশঙ্কা, রাশিয়াকে বড় ধরনের ছাড় দিলে ভবিষ্যতে পশ্চিমা বিশ্বের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।