Image description

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস নগদ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে ডাক অধিদপ্তর। ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক আবু তালেবকে প্রধান করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বনানীর নগদ অফিসে গিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক দলের ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ দেওয়ায় পর নগদের পরিচালনা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক অধিদপ্তর।

ডাক অধিদপ্তরের এক অফিস আদেশে বলা হয়, নগদ পরিচালনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিযুক্তির আদেশের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক স্থগিতাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ডাক অধিদপ্তরকে নগদ পরিচালনায় সার্বিক দায়িত্বভার গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে নগদ-এর প্রধান কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট সব স্থানে সরেজমিন উপস্থিত হয়ে সময়ে সময়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলো।

কমিটির সদস্যরা হলেন ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আবু তালেব ও মো. আমিনুর রহমান। অন্যরা হলেন পোস্টাল অ্যাটাচি এসএম ওয়াদুদুল ইসলাম, প্রোগ্রামার মো. মনিরুজ্জামান, ডিপিএমজি সঞ্জিত চন্দ্র পণ্ডিত, মো. সাহেদুজ্জামান সরকার, খন্দকার শাহনুর সাব্বির ও একেএম মনিরুজ্জামান। কমিটি পর্যবেক্ষণকাজের স্বার্থে প্রয়োজন মনে করলে সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।

এদিকে নগদের অর্থ তছরুপের জন্য যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, তাদের মধ্যে একজনকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি হলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক মো. সাফায়েত আলম।

ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নিয়ে তিনি নতুন মানবসম্পদ কর্মকর্তা নিয়োগসহ নানা ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে শুরু করেছেন। গত দুই দিনে শীর্ষ পর্যায়ের ১৯ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের করা মামলার আরো দুই আসামিকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এতে নগদ পরিচালনায় নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে ১৯ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।