Image description
‘ভোক্তার ডিজি হিসেবে আমি অসহায়’
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজির সিলিন্ডার বেশি দামে কিনতে হয়েছে স্বয়ং জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম শফিকুজ্জামানকে। গতকাল শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সেটি উল্লেখ করে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। অনুষ্ঠানে বক্তব্যের একপর্যায়ে পকেট থেকে একটি রশিদ বের করে ভোক্তার ডিজি শফিকুজ্জামান বলেন, ‘১২৮৪ টাকার গ্যাস সিলিন্ডার রাজধানীর বসুন্ধারা গেটে থেকে আমার ড্রাইভার কিনে নিয়ে এসেছে ১৩৩০ টাকায়। সেখানে বসুন্ধরা এলপিজির একটি বড় ডিস্ট্রিবিউশন আছে। বসুন্ধারার বড় মার্কেট শেয়ার এখানে। তার যদি ১৩৩০ টাকায় সরাসরি বিক্রি করে, তাহলে ভোক্তার ডিজি হিসেবে আমি নিজেও অসহায়।’ তিনি বলেন, ‘এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন যখন ভোক্তা পর্যায়ে ১২৮৪ টাকায় ডিকলিয়ার করার পরে আমাকে যখন কিনতে হয় ১৩৩০ টাকায়, তখন দেখা যায় এখানে কোনো এক জায়গায় সমস্যা আছে। সেই সমস্যাটা কী, যখন ভোক্তা পর্যায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি দামে সিলিন্ডার কেনে, এটি যখন অ্যাডজাস্ট করা হয় কখনো কমানো হয়, কখনো বাড়ানো হয়। প্রতিবারই দেখা যায় ডিফারেন্সটা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ভোক্তা পর্যায়।’ এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা যখন অভিযান করি, যখন বেশি দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হয় তখন মিডিয়ার চাপ থাকে, মানুষ আমাদের কাছে অভিযোগ করে। অভিযান করার পর যখন দেখা যায়, যারা উৎপাদন করে তারা বেশি দামে বিক্রি করছে, এর পরবর্তীতে প্রতিটা ধাপে ধাপে ভোক্তা পর্যায়ে সেই ইফেক্ট পড়ছে।’ ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘মজার ব্যাপার আমার যখন এই অভিযানে যাই, তখন দেখা যায় তারা রিসিট দিচ্ছে ১২৮৪ টাকা, সঙ্গে তারা দেখাচ্ছে সার্ভিস চার্জ ৩০০ টাকা। সার্ভিস চার্জটা কী, সেটা হচ্ছে তার দোকান থেকে ভ্যানে তুলে দেওয়া।’ অনেকে বেশি দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি সেই রিসিট দেখাতে পারেন, অনেক ক্ষেত্রেই মুখে মুখে হয়। সেই জায়গাটাই আমি আশা করব আপনার (ডিস্ট্রিবিউটর) সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে রাখছেন। কারণ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলটা আপনাদের থেকেই শুরু হয়। এ কারণে আমি বলব এটি ডকুমেন্টটেড হতে হবে। এটা যদি হয় তাহলে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের যে ডিক্লিয়ারেশন আছে আমরা ভোক্তা পর্যায়ে সেটা নিশ্চিত করব। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই।’