Image description

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সফলতা অর্জনের অন্যতম প্রধান উপাদান হল ফেসবুকে আপনার এনগেজমেন্ট বা প্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি করা। ব্যবসা বা সেবা প্রচারের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করলে প্রয়োজন আপনার লক্ষ্যবস্তু দর্শকদের কাছে এমন কন্টেন্ট পৌঁছানো। এটি তাদের আকর্ষণ করে, লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ও ক্লিকের মাধ্যমে সক্রিয় অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করে।

তবে, ফেসবুকে এনগেজমেন্ট বাড়ানো সহজ নয়। এর জন্য সঠিক কৌশল জানা এবং প্রয়োগ করা জরুরি। নিচে ফেসবুক এনগেজমেন্ট কী, কিভাবে এর হার হিসাব করবেন এবং ১৩টি প্রভাবশালী কৌশল তুলে ধরা হলো।

ফেসবুক এনগেজমেন্ট কি?
ফেসবুক এনগেজমেন্ট বলতে বোঝায় আপনার ফেসবুক পেজে ইউজারদের যেকোনো ধরণের প্রতিক্রিয়া যেমন লাইক, কমেন্ট, শেয়ার এবং ক্লিকের সংখ্যা। এই সংখ্যা বাড়লে বোঝা যায় আপনার মার্কেটিং কৌশল কার্যকর হচ্ছে এবং কন্টেন্ট দর্শকদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে।

ফেসবুক এনগেজমেন্ট হার হিসাবের সূত্র (মোটলাইক + কমেন্ট + শেয়ার) ÷ মোটরিচ (মোটলাইক+কমেন্ট+শেয়ার)÷মোটরিচ × ১০০ ফেসবুক ইনসাইটস বা তৃতীয় পক্ষীয় অ্যানালিটিক্স টুল ব্যবহার করে এই ডেটা পাওয়া যায়।

ফেসবুক এনগেজমেন্ট বৃদ্ধির ১৩টি কৌশল

১. টার্গেট অডিয়েন্স বোঝা
যাদের উদ্দেশ্যে কন্টেন্ট তৈরি করা হচ্ছে, তাদের বয়স, পছন্দ, আচরণ ও অনলাইন উপস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা জরুরি। এতে বার্তা প্রেরণ সঠিকভাবে সম্ভব হয়।

২. সঠিক সময়ে পোস্ট করা
ফলোয়াররা যখন সবচেয়ে সক্রিয় থাকে, তখন পোস্ট করলে এনগেজমেন্টের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এজন্য পূর্ববর্তী পোস্টের ডাটা বিশ্লেষণ করে উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

৩. নিয়মিত পোস্ট করা
প্রতিদিন বা সাপ্তাহিক নির্দিষ্ট সংখ্যক পোস্ট নিয়মিত দিলে অ্যালগরিদমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এতে এনগেজমেন্ট বাড়াতে সাহায্য করে।

৪. গুণগত মানসম্পন্ন কন্টেন্ট দিন
শুধু নিজের পণ্য নয়, বরং ট্রেন্ডিং বিষয়, তথ্যবহুল ইনফোগ্রাফিক, মজাদার পোস্ট এবং ভিন্নধর্মী কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যাতে দর্শক আগ্রহ হারায় না।

৫. ফলোয়ারদের সাথে যোগাযোগ করুন
ফলোয়ারদের কমেন্টের দ্রুত জবাব দেওয়া আপনার ব্র্যান্ডের ইতিবাচক ইমেজ তৈরি করে এবং ভবিষ্যতে আরও এনগেজমেন্ট বাড়ায়।

৬. ভিজ্যুয়াল কন্টেন্টের ব্যবহার বাড়ান
ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট বেশি নজর কাড়ে। স্টক ইমেজের বদলে ব্র্যান্ডের নিজস্ব ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করা ভালো। ভিডিও সরাসরি ফেসবুকে আপলোড করলে বেশি রিচ পাওয়া যায়।

৭. ইউজার-জেনারেটেড কন্টেন্ট (UGC) কাজে লাগান
গ্রাহকের তৈরি ছবি, ভিডিও বা পোস্ট পেজে শেয়ার করা হলে তারা উৎসাহিত হয় এবং এনগেজমেন্ট বাড়ে। প্রয়োজনে প্রতিযোগিতা বা পুরস্কারের মাধ্যমে দর্শকদের অংশগ্রহণ বাড়ানো যায়।

৮. ফেসবুক অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করুন
সবচেয়ে বেশি রিচ পাওয়া পোস্টগুলো চিহ্নিত করে সেই ধরনের কন্টেন্ট পুনরায় তৈরি করলে সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে।

৯. কর্মচারীদের সাহায্য নিন
কর্মীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ব্র্যান্ডের কন্টেন্ট শেয়ার করালে রিচ ও ক্লিক-থ্রু রেট দ্বিগুণ হতে পারে।

১০. ফেসবুকের অ্যালগরিদম বুঝুন
ফেসবুক কিভাবে কন্টেন্ট ফিডে দেখায় তা জানলে বেশি কার্যকর কন্টেন্ট তৈরি সম্ভব।

১১. ফেসবুক স্টোরিজ ব্যবহার করুন
২৪ ঘণ্টার জন্য স্টোরিজ পোস্ট করে দর্শকের সঙ্গে নতুন ধরণের ইন্টারঅ্যাকশন বাড়ান।

১২. ইনফ্লুয়েন্সারদের সাথে কাজ করুন
জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবা প্রচার করুন।

১৩. ভেরিফায়েড পেজ হোন
ফেসবুক পেজে নীল টিক পেলে বিশ্বস্ততা বাড়ে এবং ফলোয়ারের আকর্ষণ বাড়ে।