আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বোলার হিসেবে এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার পেসার গেদে প্রিয়ান্দানা। আজ বালিতে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে এই কীর্তি গড়েন ২৮ বছর বয়সী প্রিয়ান্দানা। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, প্রতিটি ডেলিভারির তথ্য সংরক্ষণ শুরুর পর ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেট মিলিয়ে এই সংস্করণে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়েন প্রিয়ান্দানা ।
উদয়না ক্রিকেট মাঠে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে ইন্দোনেশিয়া। তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ১০৬ রান তুলেছিল কম্বোডিয়া। ১৬তম ওভারে নিজের প্রথম স্পেল করতে এলেন প্রিয়ান্দানা। আর এসেই ওলটপালট করে দিলেন সব হিসাব।
প্রথম তিন বলে সাজঘরে ফেরালেন শাহ আবরার হোসেন, নির্মলজিৎ সিং ও চ্যানথুন রথনককে। হয়ে গেল হ্যাটট্রিক! চতুর্থ বলটি ডট দিলেন। কিন্তু ক্ষুধা যেন তখনো মেটেনি। পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে তুলে নিলেন মংদারা সক ও পেল ভেনাককে। মাঝে একটি ‘ওয়াইড’ থেকে ১ রান এসেছিল। ব্যস, ওই এক ওভারেই কম্বোডিয়ার ইনিংস শেষ। ৬০ রানের বিশাল জয় পেল ইন্দোনেশিয়া। এর আগে ব্যাটিংয়ে ওপেনার হিসেবে নেমে ১১ বলে ৬ রানে আউট হন গেদে প্রিয়ান্দানা। তাঁর ওপেনিং সতীর্থ ধর্ম কেসুমা খেলেন ৬৮ বলে ১১০ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ওভারে ৫ উইকেট এই প্রথম হলেও ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে এমন ঘটনা আগে দুবার ঘটেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে থাকার কথা আল-আমিন হোসেনের কথা। ২০১৩-১৪ মৌসুমে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি কাপে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে এক ওভারে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে হরিয়ানার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েছিলেন কর্নাটকের অভিমন্যু মিঠুন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ১৪ বার। যার মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় হয়ে আছে লাসিথ মালিঙ্গার সেই স্পেল। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা চার বলে চার উইকেট নিয়েছিলেন এই লঙ্কান কিংবদন্তি। তবে প্রিয়ান্দানা আজ সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন।
কোনো নির্দিষ্ট বোলার এর আগে এক ওভারে ৫ উইকেট নিতে না পারলেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ওভারে ৫ উইকেট পড়ার ঘটনা কিন্তু আছে। সেটা ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। সেন্ট লুসিয়ায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে শেষ ওভারে প্রথম দুই বলে উইকেট নেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে রান আউট হন অস্ট্রেলিয়ার দুই ব্যাটসম্যান। পঞ্চম বলটি ‘ডট’ হওয়ার পর শেষ বলে আবার উইকেট নেন আমির।