Image description

আরও একবার নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অধিনায়ক, কোচ ও নির্বাচক বদলের জন্য পরিচিত বোর্ডটি এবার ওয়ানডে ফরম্যাটে মোহাম্মদ রিজওয়ানকে সরিয়ে দিয়েছে নেতৃত্ব থেকে। তার জায়গায় অধিনায়ক করা হয়েছে বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে।

গতকাল (সোমবার) দ্বিতীয় টেস্ট চলাকালীন সময়েই পিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে শাহিনের নতুন দায়িত্বের ঘোষণা দেয়। প্রোটিয়াদের চলমান সফরেই দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেবেন তিনি। বর্তমানে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। দুটি টেস্ট শেষে ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এবং ৪ নভেম্বর থেকে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

হঠাৎ রিজওয়ানকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরানোর কারণ স্পষ্ট করেনি পিসিবি। তবে ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচক কমিটি ও পাকিস্তানের সাদা বলের (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি) কোচ মাইক হেসন। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর তথ্য অনুযায়ী, হেসনই মূলত অধিনায়ক বদলের বিষয়ে আলোচনা শুরু করার পরামর্শ দেন এবং এই বিষয়ে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি নির্বাচক ও পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করেন।

যদিও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোচ মাইক হেসন এককভাবে রিজওয়ানকে সরানোর সিদ্ধান্ত দেননি। এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শাহিন প্রথমবার পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হন। কিন্তু নিউজিল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে পরাজয়ের পর আচমকা তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাবর আজমের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয় পাকিস্তান।

এই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তিন ফরম্যাটে তিন ভিন্ন অধিনায়ক রেখে দিল পিসিবি। বর্তমানে টেস্টে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শান মাসুদ, টি-টোয়েন্টিতে সালমান আলি আগা এবং ওয়ানডেতে নতুন দায়িত্ব পেলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।

রিজওয়ান ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ২০টি ম্যাচে ৯টি জয় ও ১১টি পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছেন, যার সফলতার হার ৪৫ শতাংশ। তার অধিনায়কত্বে পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল। তবে চলতি বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম রাউন্ডেই পাকিস্তান হেরে যায়।

শাহিন আফ্রিদি গত বছর ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ছিলেন। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর থেকে কোনো পূর্ণ সদস্য দেশের পেসার এক বছরে তার মতো ৪৫ উইকেট শিকার করতে পারেননি। এবার নতুন দায়িত্বে তিনি কি পাকিস্তানকে সাফল্যের ধারায় ফিরিয়ে আনতে পারবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।